জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
Dream Catcher "ড্রিম ক্যাচার" সম্পর্কে গুগল থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক যাহা জানতে পেরেছি,তা হলোঃ
★গোল চাকতির মাঝে নানা রঙের উল দিয়ে জাল তৈরি করা হয়, আর তার নিচের দিকে উলের দড়িতে পুঁথি বা রং-বে-রঙের পালক লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এক কথায় উইন্ড চিমসের মতো দেখতে এই শোপিসটি বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লেগে থাকেঃ
★এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিছানার আশেপাশে ড্রিম ক্যাচার রাখলে ঘুমনোর সময় নেগেটিভ এনার্জির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে "ইভিল স্পিরিট" এর খপ্পরে পরার সম্ভাবনাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, কালো যাদুর কারণে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাও সুনিশ্চিত হয়।
★এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ড্রিম ক্যাচারের জালে খারাপ স্বপ্ন আটকে যায়। তাই তো শুধু ভাল ভাল স্বপ্ন আসতে থাকে ঘুমনোর সময়।
★এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বেড রুমে ড্রিম ক্যাচার রাখলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। আর এমনটা যখন হয়, তখন গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ফলে চরম সফলতার স্বাদ তো পাওয়া যায়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। ফলে জীবন অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
★অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার এনে রাখলে এই সব ভূতেরা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
★বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার থাকলে একদিকে যেমন অশুভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি কোনও ধরনের বাস্তু দোষ থাকলে তাও কাটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, কোনও বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনি পরিবারে অশান্তি এবং কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
,
,
,
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
Dream Catcher এটি আকীদা বিরোধী একটি বস্তু,কোনো মুসলমানের জন্য তাহা ব্যবহার করা জায়েন নেই।
না জেনে ব্যবহার করে থাকলে মাফ।কেননা উযর বিল জাহালত ক্ষমাযোগ্য অপরাধ।
,
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।
,
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
,
তবে সেটির ব্যবহার যে নাজায়েজ, শিরকের অন্তর্ভুক্ত, এটি জানার পরেও কেহ যদি তাহা ব্যবহার করে,তাহলে এটি মারাত্মক অপরাধ।
মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে এর জন্য কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
আরো জানুনঃ