ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইদ্দত পালনকারিণীর অবস্থানঃ
عَلَى الْمُعْتَدَّةِ أَنْ تَعْتَدَّ فِي الْمَنْزِلِ الَّذِي يُضَافُ إلَيْهَا بِالسُّكْنَى حَالَ وُقُوعِ الْفُرْقَةِ وَالْمَوْتِ كَذَا فِي الْكَافِي.
ইদ্দত পালনকারীণী ঐ ঘরে ইদ্দত পালন করবে যেখানে সে বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে বা স্বামীর মৃত্যুকালীন সময়ে অবস্থান করে আসছিলো।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৩৫)
الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَخْرُجُ نَهَارًا وَبَعْضَ اللَّيْلِ وَلَا تَبِيتُ فِي غَيْرِ مَنْزِلِهَا كَذَا فِي الْهِدَايَةِ.
স্বামী মৃত্যুর ইদ্দত হলে স্ত্রী স্বামীর বাড়ীতেই অবস্থান করবে।বিশেষ প্রয়োজন হলে দিনে ও রাত্রের পাথমিক অংশে বাহিরে যেতে পারবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৫৩৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/104
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবা মা ইতিপূর্বে যেই ঘরে অবস্থান করে আসছিলেন, সেই ঘরেই আপনার মা এখন ইদ্দত পালন করবেন। গ্রামের বাড়ী যেখানে আপনার বাবাকে কবর দেয়া হয়েছে, সেখানে আপনার মাকে ইদ্দত পারন করতে হবে না। বরং আপনার বাবার মৃত্যুর সময় আপনার মা যেই ঘরে অবস্থান করছিলেন, সেই ঘরেই আপনার মা ইদ্দত পালন করবেন।
(২) বেহুশ অবস্থায় বা অবচেতন অবস্থায় যতগুলো নামায রোযা গত হয়েছে, সেগুলোর কাযা কাফফারা লাগবে না। হ্যা, সচেতন অবস্থায় সামর্থ্য থাকাবস্থায় যতগুলো নামায রোযা কাযা হয়েছে, সবগুলো নামায রোযার জন্য একটি করে ফিতরা সমপরিমাণ টাকা আপনাদেরকে সদকাহ করতে হবে। অনুমান করে হিসেব করে সদকাহ করে দিবেন।