জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী স্কলার গন বলেছেন যে ইসলাম গ্রহনের প্রক্রিয়াটা হচ্ছে- সুন্দর দুটি বাক্য উচ্চারণ করা; যে বাক্যদ্বয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ ইসলামের মর্ম নিহিত রয়েছে। যাতে অন্তর্ভুক্ত আছে- মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর দাসত্বের স্বীকৃতি, আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ, আল্লাহকে উপাস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া, নিজের ওপর আল্লাহকে যা ইচ্ছা হুকুমদাতা হিসেবে মেনে নেয়া। যাতে রয়েছে- মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর নবী (বার্তাবাহক); তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু অহী হিসেবে নিয়ে এসেছেন সেসব অনুসরণ করা আবশ্যকীয়, তাঁর আনুগত্য হচ্ছে- আল্লাহরই আনুগত্য। যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ একীন ও বিশ্বাসের সাথে এ সাক্ষ্যবাণীদ্বয় উচ্চারণ করবে সে ইসলামে প্রবেশ করবে এবং মুসলমানদের একজন হিসেবে গণ্য হবে।
গোসল করে নিতে হবে এবং বলতে হবে
أشهد أن لا إله الا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله
অথবা বাংলাতে বলবেঃ
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (বার্তাবাহক)।”
,
আরো জানুনঃ
★এক্ষেত্রে কোনো আলেমের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কালেমা শাহাদাত পাঠের পূর্বে গোসল করে নিতে হবে।
অনলাইনে শাদাহ পাঠ করলেও হবে,একান্ত ভাবে নিজে নিজে পাঠ করলেও হবে।
কোনো সমস্যা নেই।
আরবীতে বলতে না পারলে বাংলাতেও বলতে পারবেঃ
সুরা ইউসুফ এর ০২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰهُ قُرۡءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲﴾
নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে আহসানুল বায়ানে উল্লেখ রয়েছেঃ
আসমানী গ্রন্থসমূহকে অবতীর্ণ করার উদ্দেশ্য হল, মানুষকে হিদায়াত ও পথ প্রদর্শন করা। আর উক্ত উদ্দেশ্য তখনই অর্জন হবে, যখন সেই গ্রন্থ এমন ভাষায় হবে, যে ভাষা তারা বুঝতে পারবে। এই জন্যই সমস্ত আসমানী গ্রন্থ যে জাতির হিদায়াতের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে সে জাতির ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। কুরআন কারীম যেহেতু সর্বপ্রথম আরববাসীদেরকে লক্ষ্য করে অবতীর্ণ করা হয়েছে, সেহেতু তা আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাছাড়া আরবী ভাষা সাহিত্য- শৈলী, শব্দালঙ্কার, অলৌকিকতা ও অর্থ প্রকাশের দিক থেকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষা। এই জন্য আল্লাহ তাআলা এই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ)-কে সর্বশ্রেষ্ঠ (আরবী) ভাষাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রতি, সর্বশ্রেষ্ঠ ফিরিশতা (জিবরীল)এর মাধ্যমে অবতীর্ণ করেছেন এবং মক্কা যেখানে অবতীর্ণ হতে আরম্ভ হয়েছে, তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান, যে মাসে অবতীর্ণ হয়েছে, সে মাসটিও সর্বশ্রেষ্ঠ মাস রমযান মাস এবং যে রাতে অবতীর্ণ হয়েছে, সে রাতও সর্বশ্রেষ্ঠ রাত শবেকদরের রাত।
,
★সুতরাং কেহ যদি কালেমা শাহাদাত এর বাংলা অর্থ বা তার মাতৃভাষায় যে অর্থ দাঁড়ায় সে অর্থ যদি পড়ে কিন্তু কালেমা শাহাদাত এর আরবি যদি না পড়ে তাহলেও সে মুসলমান হবে।
কোনো সমস্যা নেই।
তবে রাসুল সাঃ যেহেতু এই ভাষাতে কালেমায়ে শাহাদত পড়িয়ে লোকদের মুসলমান বানিয়েছেন,তাই বাংলা সহ আরবিতে পড়াই উত্তম।