আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম
ওস্তাদ,  আমি ত্বলিবুল ইলম আলহামদুলিল্লাহ।  আমি পড়ালেখার পাশাপাশি মসজিদে ইমামতি করি আলহামদুলিল্লাহ। এই মুহূর্তে আমি খুব দৃঢ়ভাবে অনুভব করতেছি যে আমার অন্তরে শান্তি নেই! আমি মাদ্রাসার সাথে লেগে আছি কিন্তু খুব মেহনতের সাথে ইলম অর্জন করতে পারতেছি না। বলা যায় যে নামকাওয়াস্তে শুধু মাদ্রাসায় পড়ি! রিসেন্টলি আমি আদিব হুজুর(আবু তাহের মিসবাহ হুজুর) কিছু কথা পড়লাম। ত্বলিবুল ইলমের, ইলম না পাওয়ার কারণ বা ইলমের সাথে না থাকার কারণ কি হতে পারে এ বিষয়ে। কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য করছে যে হালাল রিযিক না হওয়া। আমার মূল প্রশ্ন হচ্ছে,
ওস্তাদ, আমি যে মসজিদে ইমামতি করি এখানে তিন বেলা আমাকে খাবার দেয়; কিন্তু যারা খাবার দিচ্ছে, আমি তো জানিনা যে তারা হারাল ইনকাম করে নাকি হারাম। এমনকি আমি মসজিদে ঢোকার সময় বলে দিয়েছিলাম যে, যে বাড়িতে হারাম ইনকাম আছে সেখান থেকে আমার খাবার দিয়েন না। স্বাভাবিকভাবে ওস্তাদ কমিটি কাউকে না বলতে পারে না, কিন্তু এটাও তো বাস্তবতা যে, এই সমাজে সবার ইনকামই হালাল না। আবার আমি নির্দিষ্ট করে জানিও না যে কার ইনকাম হালাল। আমাকে শুধু মসজিদে এসে খাবার দিয়ে যায়, আমি সেটা গ্রহণ করি।
এখন আমার জন্য এই খাবার হালাল কিনা? আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে,হারাম সম্পদ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা যাবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হোন,অর্থাৎ নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হোন,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য উক্ত খাবার গ্রহণ বৈধ।

আর যদি আপনি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত না হোন,অর্থাৎ আপনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন,সেক্ষেত্রে লিস্ট করবেন যে কোন কোন বাড়ি থেকে মূলত আপনার খাবার আসে এবং প্রত্যেকের ইনকাম আপনি মানুষদের থেকে যাচাই করে জেনে নিবেন।


এমতাবস্থায় কার কার বাড়ি থেকে কবে খাবার আসে সেটিও আপনি জেনে নিবেন।

এরপর যিনি হারাম উপার্জন করেন তার বাড়ির থেকে যেদিন খাবার আসবে সেদিন আপনিও সেই খাবার গ্রহণ করবেন না।
কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

আপনি নিজের টাকায় সেদিনের খাবার ক্রয় করে খেয়ে নেবেন।
অথবা অন্য কোনো ভাবে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...