আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)

+=======================================+
আসসালামু আলাইকুম,

তায়াম্মুমে কি উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা যাবে? এটা হাদিস সহ প্রমান লাগবে, একজন বলছে এটা নাকি বিদআত। আমি ভুলজানি কি না বুঝতে পারছিনা।

+=======================================+


 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّا نَكُونُ بِالْمَكَانِ الشَّهْرَ وَالشَّهْرَيْنِ . فَقَالَ عُمَرُ أَمَّا أَنَا فَلَمْ أَكُنْ أُصَلِّي حَتَّى أَجِدَ الْمَاءَ . قَالَ فَقَالَ عَمَّارٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَا تَذْكُرُ إِذْ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ فِي الإِبِلِ فَأَصَابَتْنَا جَنَابَةٌ فَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ هَكَذَا " . وَضَرَبَ بِيَدَيْهِ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَهُمَا ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى نِصْفِ الذِّرَاعِ . فَقَالَ عُمَرُ يَا عَمَّارُ اتَّقِ اللَّهَ . فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ شِئْتَ وَاللَّهِ لَمْ أَذْكُرْهُ أَبَدًا . فَقَالَ عُمَرُ كَلاَّ وَاللَّهِ لَنُوَلِّيَنَّكَ مِنْ ذَلِكَ مَا تَوَلَّيْتَ .

মুহাম্মাদ ইবনু কাছীর ..... আব্দুল মালিক থেকে আব্দুর রহমান ইবনু আবযার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি উমর (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন সেখানে এক ব্যক্তি হাযির হয় এবং বলে- আমরা কোন কোন সময় এক-দুই মাস পর্যন্ত পানিবিহীন স্থানে (নাপাক অবস্থায়) অবস্থান করি (এমতাবস্থায় করণীয় কি)। উমার (রাঃ) বলেন, পানি না পাওয়া পর্যন্ত আমি নামায হতে বিরত থাকি। রাবী বর্ণনা করেন, তখন আম্মার (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার কি ঐ ঘটনার কথা স্মরণ নাই, যখন আমি এবং আপনি উটের চারণ ভূমিতে ছিলাম, তখন আমরা উভয়েই ‘জুনুব’ (অপবিত্র) হই।
এ সময় আমি পবিত্রতা হাসিলের উদ্দেশ্যে মাটির মধ্যে গড়াগড়ি দেই। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হয়ে এ সম্পর্কে তাকে অবহিত করি। তিনি বলেন, এরূপ করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হত এবং একথা বলে তিনি তাঁর দুই হাত মাটিতে মারেন। অতঃপর তাতে ফুঁ দিয়ে উভয় হাত মুখমন্ডল এবং দুই হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ্ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহকে ভয় কর। আম্মার (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি যদি চান- তবে তা আর কোন দিন উল্লেখ করব না। উমার (রাঃ) বলেন, এরূপ কখনই নয়; বরং তুমি চাইলে আমি তা প্রচারের জন্য তোমাকে সুযোগ করে দেব।
(আবু দাউদ ৩২২)
হাদীসের মান ছহীহ।
,
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، - يَعْنِي الأَعْوَرَ - حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ثُمَّ نَفَخَ فِيهَا وَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ أَوْ إِلَى الذِّرَاعَيْنِ . 

আলী ইবনু সাহল ..... শোবা (রহঃ) এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি (আম্মার) বলেন, অতঃপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাতে তাঁর উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল এবং দুই হাতের কনুই পর্যন্ত অথবা বাহু পর্যন্ত মাসেহ্ করেন।
(আবু দাউদ ৩২৫)
হাদিসের মান ছহীহ।
,
সুতরাং তায়াম্মুমের ক্ষেত্রে উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
এটি বিদ'আত নয়।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করতে হবে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...