ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) মানুষ শুক্র থেকে সৃষ্টি, তবে মানুষের আদি পিতা মাঠি থেকে সৃষ্টি।
(২) তাদের বিদ’আতি কাজের জন্য তাদের কিয়ামতের ময়দানে জিজ্ঞাসা করা হবে।
(৩) তাদের একথার যুক্তিসংগত নয়।
(৪+৫)
শবে বরাত প্রসঙ্গ।
হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আল্লাহ তা'আলা শা'বানের মধ্যরাত্রিতে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সকল মু'মিন মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।
(সুনানে ইবনে মা'জা-১৩৯০)
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানি রাহ উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
যেমন বর্ণিত রয়েছে-
ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ
ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : ﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺼﺪﺭ : ﺻﺤﻴﺢ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺃﻭ ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ : 1148 ﺣﻜﻢ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺣﺴﻦ
ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻟَﻴَﻄَّﻠِﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦﺷﻌﺒﺎﻥَ ، ﻓﻴَﻐﻔِﺮ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻻ ﻟﻤﺸﺮﻙٍ ﺃﻭ ﻣُﺸﺎﺣﻦٍ
ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : ﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺼﺪﺭ : ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺃﻭ ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ : 1563 ﺣﻜﻢ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺫﻛﺮ ﻟﻪ ﺷﻮﺍﻫﺪ
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানি রাহ উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
তিনি (সিলসিলাতুল আহাদিস-সাহিহাহ-৩/২১৮)এ উক্ত সনদের দুর্বলতা উল্লেখ পূর্বক হাদীসের অন্যান্য সনদের ভিত্তিতে হাদীসের মতন তথা হাদীসের শব্দ ও তার মর্মার্থর বিশুদ্ধতা প্রমাণ করে হাদীসকে সহীহ বলেছেন। যেমন বর্ণিত রয়েছে-
ﻭ ﺃﻣﺎ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ : ﻓﻴﺮﻭﻳﻪ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ﺃﻳﻀﺎً ﻋﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺑﻦ ﺳﻠﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﻀﺤﺎﻙ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﻣﻮﺳﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ( ﻧﺤﻮﻩ ) .ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 1390 ) ﻭﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺎﺻﻢ ﺍﻟﻼﻟﻜﺎﺋﻲ .ﻗﻠﺖ : ﻭﻫﺬﺍ ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺿﻌﻴﻒ ؛ ﻣﻦ ﺃﺟﻞ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ، ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ، ﻭﻫﻮ ﺍﺑﻦ ﻋﺮﺯﺏ ، ﻭﺍﻟﺪ ﺍﻟﻀﺤﺎﻙ : ﻣﺠﻬﻮﻝ ، ﻭﺃﺳﻘﻄﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻪ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ .
" ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ " ( 3 / 218 )
ফাতাওয়ায়ে শামীতে২/২৪-২৫ এ বর্ণিত রয়েছে-দুই ঈদের রাত এবং শা'বানের মধ্যরাত এবং রমজানের শেষ দশের রাতে জাগরিত থেকে ইবাদত বন্দেগী করা মুস্তাহাব। এই রজনী সমূহের সমস্ত অংশ বা অধিকাংশ অংশজুড়ে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব।
এই রাত্রি সমূহে পূথক পূথক ভাবে ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে।জামাত বন্দী হয়ে করা যাবে না। নফল মোটকথাঃ নামায,কুরআন তেলায়াত,হাদীস আলোচনা,তাসবিহ, দুরুদ ইত্যাদি পড়ে রাত্রি জাগরণ করা মুস্তাহাব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1163
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবে উল্লেখ করেন, যে সারা বৎসরে একান্নটি রোজা রাখা সুন্নত। এর একটি হল, শবে বরাতের রোযা। শবে বরাতের রোযা সম্পর্কে যে হাদীস পাওয়া যায়, তার সনদ অত্যন্ত দুর্বল , বিধায় হানাফি ফুকাহায়ে কেরামের কেউ কেউ শবে বরাতের রোযাকে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।
মোটকথা,
শবে বরাতের রোযা রাখা যাবে। যেহেতু ইহুদিরা যে কোনো উপলক্ষ্যে একটি রোযা রাখে, তাই মুসলমানদের উচিৎ দুইটি রোযা রাখা। তবে একটি রোযা রাখলেও সওয়াবে কোনো ঘাটতি আসবে না।