আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
১)  বাড়িতে যিনি কাজ করেন তার কাজকর্ম নিয়ে আড়ালে বাড়ির লোকদের সাথে কথা বললে কি গিবতের মধ্যে পরবে?? যেমন উনার কাজে ফাঁকি দেওয়া, তার ব্যবহার এগুলো নিয়ে বাড়ির লোকদের সাথে কথা বললে গীবতের মধ্যে পরবে?

২) ছোট বাবু দের ভিডিও বা ছবি ফোনে তুলে রাখলে গুনাহ হবে কি?
৩) ওয়াসওয়াসা রোগী দের যেমন তালাক হয় না ঠিক তেমনি ওয়াসওয়াসা রোগী দের ঈমানের কোনো সমস্যা হয় কি?
৪) আমার কিছু জরুরি  প্রশ্নের জন্য ফোন নম্বর চাচ্ছি আফওয়ান। ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করার জন্য দয়া করে ফোন নম্বর দেওয়া যাবে উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (741,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2114

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অন্যর সমালোচনার উদ্দেশ্য যদি হয়, তাকে লোক সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা, তাহলে তা অবশ্যই গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে।তবে যদি উদ্দেশ্য হয়, কারো ক্ষতি থেকে অন্যকে হেফাজত করা তাহলে এটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সুতরাং কাজের লোকের সমালোচনা দ্বারা যদি উদ্দেশ্য হয়, তাকে যাতেকরে ভবিষ্যতে কাজে নিয়োগ দেয়া না হয়, তাহলে তা অবশ্যই গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।নতুবা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

(২) ছোট বাবুদের ভিডিও বা ছবি ফোনে তুলে রাখলে অবশ্যই গুনাহ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2253

(৩) ওয়াসওয়াসা রোগী হিসেবে যিনি স্বীকৃত। মুফতি সাহেব যাকে ওয়াসওয়াসা রোগী হিসেবে আখ্যায়িত করবেন, তার তালাকও পতিত হবে না।এবং তার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) আপনি IOM এর অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করে নাম্বার সংগ্রহ করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...