আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in সালাত(Prayer) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম,
ওস্তাদ,  কেউ যদি কোনো কারণে  বাড়িতে নামাজ পড়ে; পরবর্তীতে আবার যদি দেখতে পারে যে মসজিদে জামায়াত হচ্ছে, তাহলে কি ওই ওয়াক্তের নামাজ সে আবার জামাতে পড়তে পারবে? বা এমনিতেই কি পড়তে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ مَعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ:
"لا تُصَلُّوا الصَّلاةَ فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ."

মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“তোমরা এক দিনের একই নামাজ দুইবার আদায় করো না।”
(সুনানে নাসাই (হাদীস ৮৬০), সুনান আবু দাউদ (হাদীস ৫৭৯)

عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلَاةَ اَوْ يُؤَخِّرُوْنَهَا عَنْ وَقْتِهَا قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ.

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, সে সময় তুমি কী করবে যখন তোমাদের ওপর শাসকবৃন্দ এমন হবে, যারা সলাতের প্রতি অমনোযোগী হবে অথবা তা সঠিক সময় হতে পিছিয়ে দিবে? আমি বললাম, আপনি আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময়ে তুমি তোমার সলাতকে সঠিক সময়ে আদায় করে নিবে। অতঃপর তাদের সাথে পাও, আবার আদায় করবে। আর এ সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তোমার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।
সহীহ : মুসলিম ৬৪৮, আবূ দাঊদ ৪৩১, ইবনু মাজাহ্ ১২৫৬, তিরমিযী ১৭৬, দারেমী ১২৬৪, আহমাদ ২১৩২৪, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৮৮।

 عَنْ مَعْنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: أَنَا وَأَبِي حَضَرْنَا الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ، فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ ﷺ صَلَاتَهُ، وَإِذَا رَجُلٌ مُنْفَرِدٌ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ:
"أَلَا رَجُلٌ يَتَصَدَّقُ عَلَى هَذَا فَيُصَلِّيَ مَعَهُ؟"
فَقَامَ رَجُلٌ فَصَلَّى مَعَهُ.

মাআন ইবন ইয়াজিদ (রাঃ) বলেনঃ
“আমি ও আমার বাবা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সঙ্গে নামাজে উপস্থিত হলাম। নবী ﷺ নামাজ শেষ করার পর দেখা গেল একজন ব্যক্তি জামাআতে নামাজ পড়তে পারেনি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
‘তোমাদের মধ্যে কে এই ব্যক্তির ওপর সদকা করবে, তার সাথে (নফল হিসেবে) নামাজ পড়ে?’
তখন একজন সাহাবি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তার সঙ্গে নামাজ পড়লেন।”
(সুনানে আবু দাউদ (হাদীস ৫৭৪), সহীহ মুসলিম (হাদীস ৬৫৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি এভাবে এক ওয়াক্তের নামাজ দুইবার আদায় করেন, সেক্ষেত্রে প্রথমটি দ্বারা ফরজ আদায় হবে, দ্বিতীয়টি মূলত নফল বলে গণ্য হবে।

যেহেতু দ্বিতীয়টি নফল বলে গণ্য হবে সুতরাং আপনি ফজর নামাজের পর পুনরায় সেই ফজরের নামাজ পড়তে পারবেন না।

কারণ ফজর নামাজের পর কোন নফল নামাজ নেই।

অনুরূপভাবে আসর নামাজের পর পুনরায় সেই আসর নামাজ পড়তে পারবেন না।

কেননা আসর নামাজের পরেও কোন নফল নামাজ নেই।

মাগরিব নামাজের পরেও আপনি উক্ত মাগরিব নামাজ পুনরায় পড়তে পারবেন না।

কারণ মাগরিব নামাজ তো তিন রাকাত, আর আপনি পুনরায় যে নামাজটা আদায় করছেন সেটা তো নফল।আর তিন রাকাত তো নফল হয় না।

এজন্য আপনি পুনরায় সেই মাগরিবের নামাজ পড়তে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...