আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (112 points)
একটা post নিম্নরূপ
আপনি কি এমন একজন হতে চান, যাকে দেখে নবী ও শহীদগনও হিংসা করবেন?
তাহলে কেবল এই একটা কাজের প্রচেষ্টা আজকে থেকেই শুরু করুন,

"আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসুন।"

এমন কাউকে, যাকে আপনি স্বাভাবিকভাবে ভালোবাসেন না, যাকে দেখলে বিরক্তি লাগে, মুখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছে করে, দশ হাত দূরে থাকতে ইচ্ছে করে। যার অন্তরের অন্ধকার আপনার চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিতে চায়। যার অন্তরের বিষ আপনার অন্তরকে বিষিয়ে তোলে।

ঠিক তার জন্যই, একটুখানি হাসি দিন, তার মধ্যে ভালোটা খোঁজার চেষ্টা করুন, তার সাথে কিছু সুন্দর কথা বলুন, তাকে এমন অনুভব করান যেন তার জন্য আপনার অন্তরে সত্যিই ভালোবাসা আছে! সম্ভব হলে, তাকে একটি ছোট উপহার দিন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, যেভাবে আপনার কোন প্রিয় মানুষের জন্য আপনার মুখ থেকে গীবত বের হবে না, একইভাবে তার জন্য গীবতকে পরিহার করুন।

শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। ❤️

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“যারা একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসবে, তারা নূরের মঞ্চের উপর থাকবে। নবী ও শহীদরাও তাদের মর্যাদা দেখে হিংসা করবে।”
[তিরমিজি, আহমাদ]

আরেকটি হাদিসে রাসূল্লুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“যারা একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, কিয়ামতের দিনে তারা আল্লাহর আরশের ছায়ার নিচে থাকবে।”
[সহীহ মুসলিম]

বোনাস: আপনি যদি এই কাজটা ডেডিকেশনের এর সাথে প্রতিনিয়ত করে যান, ইন শা আল্লাহ, অচিরেই আপনার এই জোর করে ভালোবাসা স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসায় পরিণত হবে। কারন আপনার ভালোবাসাই আপনার সেই অপছন্দনীয় মানুষটার অন্তরে ভালোবাসা প্রস্ফুটিত করবে। আপনার ভালবাসা হবে সেই 'নূর' যা তার অন্তরের অন্ধকারকে মিটিয়ে দিতে শুরু করবে।

আলো আর অন্ধকার কি কখনও একসাথে অবস্থান করতে পারে?

...

কথাগুলো কি ঠিক আছে? নবী ও শহীদগণও এমন ব্যক্তিকে দেখে হিংসা করবে?

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ وَالْمُتَجَالِسِينَ فِيَّ وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ وَالْمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ . رَوَاهُ مَالِكٌ. وَفِي رِوَايَةِ التِّرْمِذِيَّ قَالَ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: الْمُتَحَابُّونَ فِي جَلَالِي لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ يَغْبِطُهُمُ النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاء
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ যারা আমার সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশে পরস্পরকে ভালোবাসে, আমার উদ্দেশে সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে আমার গুণগান করে, আমার উদ্দেশে পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ করে এবং আমারই ভালোবাসা অর্জনের জন্য নিজেদের সম্পদ পরস্পরের মধ্যে ব্যয় করে, তাদেরকে ভালোবাসা আমার জন্য ওয়াজিব হয়।

আর তিরমিযীর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’আমার মহত্ব ও সম্মানের খাতিরে যারা পরস্পর মহববত করে, তাদের জন্য পরকালে বিরাট নূরের মিনার হবে, যা দেখে নবী ও শাহীদগণ ঈর্ষা করবেন’’।

[সহীহ : মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫০৭, তিরমিযী ২৩৯০, সহীহ আত্ তারগীব ৩০১৯, আহমাদ ২২০৮০, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৯৩, হিলইয়াতুল আওলিয়া ২/১৩১, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৩৫৬। মিশকাতুল মাসাবীহ- ৫০১১ মান: সহীহ হাদীস ]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী উপরোক্ত বর্ণনা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...