আরেকটা বিষয়
আগে ১৫ দিনের পালি থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সে একটানা পালি করতো, কিন্তু প্রথম স্ত্রীর পালি শোধ হলেও তা একটানা ছিল না।
প্রথম মাসের পালিতে প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমতিতে সে প্রথম স্ত্রীর কাছে সাতদিন বেশি থাকে ঠিকই। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ২২ দিন থাকে, এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২২ দিনের আরও বেশকিছুদিন অবস্থান করে। প্রথম স্ত্রীকে শুধু জানিয়ে রাখে, এটা অনুমতি নেওয়া হয়েছিল এমন না।
এরপর হতো কি, দ্বিতীয় স্ত্রী প্রেগন্যান্ট এইজন্য প্রথম স্ত্রীর অবশিষ্ট দিনের পালি অসম্পূর্ণ রেখে রেখেই চলে যেতো।
দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে একটানা ৪৫ দিন থাকার পর প্রথম স্ত্রীর কাছে আসে। ১০ দিন থাকার পর তিনি আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে গিয়ে এক সপ্তাহ অবস্থান করে। এরপর ফিরে আসে, তখন প্রথম স্ত্রীর পালিতে অবশিষ্ট দিন ছিলো ২৯ টা। কিন্তু স্বামী আবারও ২০ দিন পালি করে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যান দ্বিতীয় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে।
এসব বিষয়ে তো প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া হয়নি, বরং তাকে জানিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও প্রথম স্ত্রী পালি সম্পূর্ণ করে যাওয়ার কথা বলেছে, কিন্তু স্বামী বলেছে একটানা পালি করতেই হবে এমন কোনো কথা আছে নাকি। স্ত্রী কেবল তার স্বামীর জন্য কিছু বলে নাই পালি অসম্পূর্ণ রেখে চলে যাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু সেদিন প্রথম স্ত্রী অনেক কান্না করেছে।
দীর্ঘদিন এভাবে পালির অসামঞ্জস্যের কারণে প্রথম স্ত্রীর মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তনও হয়েছে। একটানা ৪৫ দিন থেকে আসার পর দূরত্বের কারণে বিভিন্ন গ্যাপও সৃষ্টি হয়েছিলো।
তো প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তার পালি নিয়ে তো এমন করা হয়েছে, সবগুলো পালির রাতই সে পেয়েছে, কিন্তু গড়িমসি হয়েছিল, ধারাবাহিকতা ছিল না।
এখন প্রথম স্ত্রী নিজের পালি ছাড়বে না মর্মে জানিয়ে বাসায় এসেছে।
যেহেতু শুরু থেকে তার সাথে পালির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়নি শরীয়ত অনুযায়ী, সেহেতু এবারও কেন তাকে পালি ছাড়তে হবে? সে তো কথা বলেই এসেছিলো যে পালি মাইর গেলে বাসায় যাবে না। আর পালির ধারাবাহিকতা বজায় না রেখে প্রথম স্ত্রীকেও তো সুযোগ দেওয়া হয়েছে পালির ধারাবাহিকতা সাময়িক লঙ্ঘন করা কিন্তু পালি শোধ করে দেওয়ার।
তো এতদিন প্রথম স্ত্রীর সাথে এগুলো হয়ে এসেছে। এখন প্রথম স্ত্রী বাসায় এসেছে। এবং এও বলেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ১৫ দিন পালি করুক, প্রথম স্ত্রীর সাথে ১৫ দিন। অথবা প্রথম স্ত্রী আগে বাবার বাসায় থেকে আসুক, তারপর দ্বিতীয় স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিক বাবার বাসায়। (উল্লেখ্য, দুজন স্ত্রীরই বাবার বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্বামীর সমস্যা হবে ভেবে প্রথম স্ত্রী পরামর্শ দেয় যে আগে প্রথম স্ত্রী ঘুরে আসুক, তারপর দ্বিতীয় স্ত্রী)
প্রশ্ন, এখনও কি প্রথম স্ত্রীকেই তার মিটমাট করে বাসায় আসা পালি ছেড়ে দিতে হবে? শরীয়ত যদি অনুমতি না দেয় তবে প্রথম স্ত্রী ভয় পাচ্ছে, তার সাথে যেই পালির ধারাবাহিকতা নষ্ট করে মানসিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে, সেইমটা সে করতে চাচ্ছেন না।
কিন্তু পালির বিষয়ে বলেই আসা হয়েছিল। আর এখন পালির ধারাবাহিকতা একদিনের বদলে ১৫ দিন সেইটা সুনির্দিষ্ট, এতে কারও পালি মাইর যাবে না। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর সাথে পূর্বে এমন অহরহ হয়েছে। ১৫ দিনের বদলে ৪৫ দিনও থেকে এসেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে।