আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ


দশম মাস পর প্রথম স্ত্রী বাবার বাসায় আসার আগে বলেছে তার পালিগুলো দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কাটাক, প্রথম স্ত্রী ফিরে আসলে তাকে ওই পালিগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু স্বামী বলছে প্রথম স্ত্রী ফিরে আসলে পালি পাবে না। এখানে কি সত্যি পালি পাবে না প্রথম স্ত্রী?
উল্লেখ্য, স্বামী আগে ১৫ দিন পর পর পালি করতো। এখন ১ দিন পর পর, একই বাসাতে দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী ১৫ দিনের জন্য বাবার বাসায়৷ এসেছে। আগে ১৫ দিন পর পর পালি হলে এখন কেন পাবে না।

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একাধিক স্ত্রীর মধ্যকার সমতার সাথে বারি বারি করে অবস্থান করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। এক্ষেত্রে একরাত একরাত করে অবস্থান করাই মূল বিষয়। হ্যা, স্ত্রীদের সম্মতিতে স্বামী যদি একাধিক রাত করে বারি নির্ধারণ করে, তাহলে সেটাও গ্রহণযোগ্য। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু এখন স্বামী একরাত করে করে স্ত্রীদের ঘরে অবস্থান নিচ্ছেন।তাই কোনো স্ত্রী অনুপস্থিত থাকলে তিনি তার বারির ধাবী আর করতে পারবেন না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7838


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী আগে ১৫ দিন পর পর পালি করতো। এখন যেহেতু ১ দিন পর পর পালি করে, তাই কোনো স্ত্রী ১৫ দিনের জন্য বাবার বাসায় গেলে তার এই ১৫ দিন পরবর্তীতে সে আর পাবে না। কেননা শরীয়তের বিধান হল, এক রাত একরাত করে পারি করা। তবে হ্যা, স্ত্রীদের সম্মতি নিয়ে স্বামী একাধিক রাতের পালি নির্ধারণ করতে পারবে। তখন বঞ্চিত স্ত্রী তার প্রাপ্য পালি পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (29 points)
edited by
কিন্তু স্বামী বলছে সে পালি দিতে চায়। স্বামি উক্ত ১৫দিন দিতে চাইলে নেওয়া কি অনুচিত হবে? 
by (732,000 points)
স্বামী দিতে চাইলে হবে না।বরং অন্য স্ত্রীর সম্মতি থাকলে স্বামী দিতে পারবে 
by (29 points)
edited by
পালির সমতার জন্য দুজন স্ত্রীরই বাবার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম স্ত্রী চলে আসার পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে আর পাঠায় নাই। আসার আগে প্রথম স্ত্রীও বলেছিল হয় দুজনকেই বাসায় পাঠিয়ে দেন। আর আপনার একা থাকতে সমস্যা হলে আগে প্রথম স্ত্রীকে পাঠান, পরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাবার বাসায় পাঠান। এই কথোপকথন সম্পূর্ণটা পালির সমতার ভিত্তিতে হয়েছিল। 

কিন্তু এখন যদি এর উল্টো হয়, তাহলে কি প্রথম স্ত্রীর হক নষ্ট হলো না? কেননা প্রথম স্ত্রী বলেই আসছিল তার পালি মাইর গেলে সে বাবার বাসায় যাবে না। যার উপর ভিত্তি করে প্রথম স্ত্রী আসলো, সেইটা যদি না হয়, তাহলে তো দুইদিক থেকে প্রতারিত হয়ে যাওয়া হলো। 
by (29 points)
আরেকটা বিষয়

আগে ১৫ দিনের পালি থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সে একটানা পালি করতো, কিন্তু প্রথম স্ত্রীর পালি শোধ হলেও তা একটানা ছিল না। 

প্রথম মাসের পালিতে প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমতিতে সে প্রথম স্ত্রীর কাছে সাতদিন বেশি থাকে ঠিকই। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ২২ দিন থাকে, এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২২ দিনের আরও বেশকিছুদিন অবস্থান করে। প্রথম স্ত্রীকে শুধু জানিয়ে রাখে, এটা অনুমতি নেওয়া হয়েছিল এমন না। 

এরপর হতো কি, দ্বিতীয় স্ত্রী প্রেগন্যান্ট এইজন্য প্রথম স্ত্রীর অবশিষ্ট দিনের পালি অসম্পূর্ণ রেখে রেখেই চলে যেতো। 

দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে একটানা ৪৫ দিন থাকার পর প্রথম স্ত্রীর কাছে আসে। ১০ দিন থাকার পর তিনি আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে গিয়ে এক সপ্তাহ অবস্থান করে। এরপর ফিরে আসে, তখন প্রথম স্ত্রীর পালিতে অবশিষ্ট দিন ছিলো ২৯ টা। কিন্তু স্বামী আবারও ২০ দিন পালি করে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যান দ্বিতীয় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে। 

এসব বিষয়ে তো প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া হয়নি, বরং তাকে জানিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও প্রথম স্ত্রী পালি সম্পূর্ণ করে যাওয়ার কথা বলেছে, কিন্তু স্বামী বলেছে একটানা পালি করতেই হবে এমন কোনো কথা আছে নাকি। স্ত্রী কেবল তার স্বামীর জন্য কিছু বলে নাই পালি অসম্পূর্ণ রেখে চলে যাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু সেদিন প্রথম স্ত্রী অনেক কান্না করেছে। 

দীর্ঘদিন এভাবে পালির অসামঞ্জস্যের কারণে প্রথম স্ত্রীর মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তনও হয়েছে। একটানা ৪৫ দিন থেকে আসার পর দূরত্বের কারণে বিভিন্ন গ্যাপও সৃষ্টি হয়েছিলো। 

তো প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তার পালি নিয়ে তো এমন করা হয়েছে, সবগুলো পালির রাতই সে পেয়েছে, কিন্তু গড়িমসি হয়েছিল, ধারাবাহিকতা ছিল না।

এখন প্রথম স্ত্রী নিজের পালি ছাড়বে না মর্মে জানিয়ে বাসায় এসেছে। 

যেহেতু শুরু থেকে তার সাথে পালির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়নি শরীয়ত অনুযায়ী, সেহেতু এবারও কেন তাকে পালি ছাড়তে হবে? সে তো কথা বলেই এসেছিলো যে পালি মাইর গেলে বাসায় যাবে না। আর পালির ধারাবাহিকতা বজায় না রেখে প্রথম স্ত্রীকেও তো সুযোগ দেওয়া হয়েছে পালির ধারাবাহিকতা সাময়িক লঙ্ঘন করা কিন্তু পালি শোধ করে দেওয়ার। 

তো এতদিন প্রথম স্ত্রীর সাথে এগুলো হয়ে এসেছে। এখন প্রথম স্ত্রী বাসায় এসেছে। এবং এও বলেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ১৫ দিন পালি করুক, প্রথম স্ত্রীর সাথে ১৫ দিন। অথবা প্রথম স্ত্রী আগে বাবার বাসায় থেকে আসুক, তারপর দ্বিতীয় স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিক বাবার বাসায়। (উল্লেখ্য, দুজন স্ত্রীরই বাবার বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্বামীর সমস্যা হবে ভেবে প্রথম স্ত্রী পরামর্শ দেয় যে আগে প্রথম স্ত্রী ঘুরে আসুক, তারপর দ্বিতীয় স্ত্রী) 

প্রশ্ন, এখনও কি প্রথম স্ত্রীকেই তার মিটমাট করে বাসায় আসা পালি ছেড়ে দিতে হবে? শরীয়ত যদি অনুমতি না দেয় তবে প্রথম স্ত্রী ভয় পাচ্ছে, তার সাথে যেই পালির ধারাবাহিকতা নষ্ট করে মানসিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে, সেইমটা সে করতে চাচ্ছেন না। 

কিন্তু পালির বিষয়ে বলেই আসা হয়েছিল। আর এখন পালির ধারাবাহিকতা একদিনের বদলে ১৫ দিন সেইটা সুনির্দিষ্ট, এতে কারও পালি মাইর যাবে না। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর সাথে পূর্বে এমন অহরহ হয়েছে। ১৫ দিনের বদলে ৪৫ দিনও থেকে এসেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...