আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
আমরা তিন ভাইবোন মিলে (সমান অংশীদার) ২০১৯ এর অক্টোবর থেকে অনলাইনে কসমেটিকস এর ব্যবসা শুরু করেছি। এখন জানতে পেরেছি যে যাকাত দিতে হবে কিন্তু আমরা হিসেবটা সম্পর্কে পরিষ্কার না। কিভাবে হিসেব করব তাতে দয়া করে সাহায্য করবেন নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করেঃ
আমার স্টকে মালামাল ঢুকেছে এবং আবার বিক্রি ও হয়ে গিয়েছে। এখন স্টকে আরও মালামাল আছে। প্রায় প্রতি মাসেই নতুন মাল স্টক হয়। আমি তাহলে যাকাতটা যেই মালগুলোর বয়স ১ বছর সেগুলোর উপর দিব নাকি দুইদিন আগেও যে মালামাল স্টক হয়েছে সেগুলোসহ ধরে দিব৷ মানে, শুধুমাত্র ১ বছর যাবৎ গচ্ছিত (১বছর ধরে কোন কসমেটিক গচ্ছিত নেই বললেই চলে কারণ মাল স্টকে ঢুকে এবং বিক্রি হয়ে যায়) মালামালের উপর যাকাত দিতে হয় নাকি এখন আমার কাছে যত মালামাল স্টকে আছে সবগুলোর উপর দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদিও মূল হুকুম ছিলো আপনার স্টক পণ্যর উপর প্রত্যেকটার পৃথক পৃথক এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া। তবে এরকম করলে মানুষ সীমাহীন কষ্টে নিপতিত হবে। তাই ফুকাহয়ে কেরাম বলেন, মানুষের সহজতার স্বার্থে ব্যবসায়ী বা নিয়মিত দৈনিক আয়-উপার্জনকারীর জন্য একটি বৎসরকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এক বৎসেরর ভিতর যাই লাভ হোক, যাই ইমপোর্ট করা হোক, সবগুলোর জন্য একটি মেয়াদকে উল্লেখ করা হবে। যেমন রমজান থেকে রমজান, অর্থাৎ এক রমজান থেকে আরেক রমজান পর্যন্ত সময়ের ভিতর যাই লাভ হোক বা যে মালই ইমপোর্ট করা হোক, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়, তাহলে তার উপর যাকাত দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...