বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে নাবালেগ শিশুদের মসজিদে নিয়ে আসার কথা বর্ণিত রয়েছে।তেমনি ফিক্বহের কিতাবেও বর্ণিত রয়েছে,
ফুক্বাহায়ে কেরাম বলেন, নামাযের কাতারে প্রথমে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষরা থাকবে। আর পিছনে থাকবে শিশুরা। কিন্তু তারা একসাথে থেকে দুষ্টুমি করার সম্ভাবনা থাকলে, তাদের বড়দের কাতারের মাঝখানে মাঝখানে দাঁড় করানো হবে।
শিশুদের নামাযের প্রশিক্ষণের জন্য মসজিদে নিয়ে আসা উচিত। তবে খেয়াল রাখা উচিত, দুষ্টুমি করে যেন অন্যদের নামাযে কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটানো হয়।
فى رد المحتار- ويصح الرجل ثم الصبيان ظاهرة تعددهم فلو واحد دخل الصف (ردالمحتار-2/312-313
وفى تقريرات الرافعى- قال الرحمتى ربما يتعين فى زماننا ادخال الصبيان فى صفوف الرجال لأن المعهود منهم اذا اجتمع صبيان فاكثر فيبطل صلاة بعضهم ببعض وربما بعدى ضررهم الى افساد صلاة الرجال (رد المحتار-2/73
তবে যদি বাচ্ছা এত ছোট হয় যে, যে বাচ্ছার ব্যাপারে নাজসত আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত বাচ্ছাকে মসজিদে নিয়ে আসা যাবে না।(সংগৃহিত)
আল্লামা হাসকফি রাহ বলেন,
وَيَحْرُمُ إدْخَالُ صِبْيَانٍ وَمَجَانِينَ حَيْثُ غَلَبَ تَنْجِيسُهُمْ وَإِلَّا فَيُكْرَهُ
বাচ্ছা,পাগল,যাদের ব্যাপারে নাজাসত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল,তাদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা হারাম। এ ছাড়া অন্যান্যদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা মাকরুহে তানযিহি।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قَوْلُهُ وَيَحْرُمُ إلَخْ) لِمَا أَخْرَجَهُ الْمُنْذِرِيُّ " مَرْفُوعًا «جَنِّبُوا مَسَاجِدَكُمْ صِبْيَانَكُمْ وَمَجَانِينَكُمْ، وَبَيْعَكُمْ وَشِرَاءَكُمْ، وَرَفْعَ أَصْوَاتِكُمْ، وَسَلَّ سُيُوفِكُمْ، وَإِقَامَةَ حُدُودِكُمْ، وَجَمِّرُوهَا فِي الْجُمَعِ، وَاجْعَلُوا عَلَى أَبْوَابِهَا الْمَطَاهِرَ» " بَحْرٌ.
ইমাম মুনযিরি রাহ, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস উল্লেখ করে বলেন, তোমরা তোমাদের বাচ্ছাদেরকে এবং পাগলদেরকে মসজিদ থেকে দূরে রাখো।মসজিদ থেকে ক্রয়-বিক্রয়কে দূরে রাখো।উচ্ছ আওয়াজকে মসজিদ থেকে দূরে রাখো।খোলা তরবারি এবং হদ কায়েম থেকে মসজিদকে দূরে রাখো।শুক্রবারে লোকদেরকে জমায়েত করো এবং মসজিদের দরজায় সুগন্ধি লাগিয়ে দাও(রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৬)