আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,013 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
নামাজে মেয়েদের থুতনির কতটুকু অংশ দেখা যেতে পারবে?

জোহরের সালাতে ফরয পড়ে তারপর ৪ রাকাত সুন্নাহ পড়া যাবে?

বিতর প্রতিদিন এক রাকাত করে পড়া যাবে?

ইস্তেখারা দুয়াটা না পড়ে কি ইস্তিখারার নামাজ পড়া যাবে?

ফজরের সালাতের সুন্নাহ পড়ার সময় না থাকলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য সতর ঢেকে রাখা শর্ত।এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বলা হয়,
العورة للرجل من تحت السرة حتى تجاوز ركبتيه 
পুরুষের জন্য নাভীর নীচ থেকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে।
بدن الحرة عورة إلا وجهها وكفيها وقدميها
এবং আযাদ মহিলাকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে চেহারা এবং কবজি পর্যন্ত হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ব্যতীত।

আর মহিলাদের নামাযের সময় হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।
ﻓﻰ ﺗﻨﻮﻳﺮ ﺍﻷﺑﺼﺎﺭ - ﻭَﺳَﺘْﺮُ ﻋَﻮْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻫِﻲَ ﻟِﻠﺮَّﺟُﻞِ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺳُﺮَّﺗِﻪِ ﺇﻟَﻰ ﻣَﺎ ﺗَﺤْﺖَ ﺭُﻛْﺒَﺘِﻪِ ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦِ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺷﺮﻭﻁ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﻣﻄﻠﺐ ﻓﻰ ﺳﺘﺮ ﺍﻟﻌﻮﺭﺓ - 1/404
মহিলাদের জন্য অন্য সময় গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা, হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন রাস্তায় প্রচন্ড ভীর হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/12179

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়েরা নামাযে চেহারাকে খুলে রাখতে পারবে। চেহারা বলা হয়, এক জন অন্যজনের সামনে দাড়ালে যতটুকু মুখের যতটুকু অংশ দেখা যায়, ততটুকুই চেহারার অন্তর্ভূক্ত। থুতনির যতটুকু অংশ সামনে উপবিষ্ট ব্যক্তি দেখতে পান, ততটুকু অংশকে ঢেকে রাখা জরুরী। 

(২) বিনা উযরে সুন্নতে মু'আক্বাদাকে তরক করলে গোনাহ হবে।বিস্তারিত জানুন-বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/400
জোহর ও জুম্মার সুন্নতে কাবলিয়্যাহ।যদি এগুলো তরক হয়ে যায়,তাহলে জোহরের ওয়াক্তের ভিতর জোহরের ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নত নামাযের পর(ফরয পরবর্তী সুন্নতের আগে না পরে পড়তে হবে?এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে) সেগুলোকে পড়ে নেয়া জরুরী।তবে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর জরুরী নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3443

(৩)
বিতর প্রতিদিন এক রাকাত করে পড়া যাবে না। বরং দৈনিক তিন রা’কাত করে পড়তে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/ 859

(৪)
ইস্তেখারার নামায পড়ার পর ইস্তেখারার দু’আ পড়তে হবে। দু’আ ব্যতীত ইস্তেখারার নামাযের কোনো নিয়ম নাই। 

(৫) 
ফজরের সালাতের সুন্নাহ পড়ার সময় না থাকলে সূর্যোদয়ের পর সুন্নতকে কাযা করা সুন্নত। সময় না থাকার দরুণ সুন্নতকে না পড়লে কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 141 views
...