আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (11 points)
একটি মিলাদের দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে মিলাদ ও কোরআন তিলাওয়াত শেষ হওয়ার পরে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কিছু মিষ্টির প্যাকেট দিয়েছে। মিলাদ করা ঠিক না এটা জানি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মিষ্টি খাওয়া যাবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম।আল্লাহ তা'আলা নবীর উপর দুরুদ পাঠের নির্দেশ দিচ্ছেন।এবং পাঠকারীদের প্রশংসা করেছেন।এবং এই দুরুদ পাঠকে গোনাহ মাফের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।(সূরা আহযাব-৫৬)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲَّ ﺻَﻠَﺎﺓً ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﻬَﺎ ﻋَﺸْﺮًﺍ
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৪)

তবে সংখ্যা নির্দিষ্টকরে দরুদ পাঠ করার কোনো বৈধতা নাই।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1104

ঠিকতেমনি নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির মাধ্যমেও দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা নাই। কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে বসে বা দাড়িয়ে কুরআন হাদীসে বর্ণিত বাক্য ব্যতীত নির্দিষ্ট কিছু বাক্য উচ্ছারণ এবং উক্ত বাক্যর ফাঁকে ফাঁকে দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা শরীয়তে নেই। এগুলো ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল না। এগুলো বিদআত,পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3463

বিদ'আত কাকে বলে?
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).
মর্মার্থ- দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।বিদআত দুই প্রকার,যথাঃ- (১)বিদআতে হাসানাহ (২)বিদআতে সাইয়্যিয়াহ।

বিদ'আতের পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
عَنْ أَبِي نَجِيحٍ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَرَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم مَوْعِظَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ! كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا، قَالَ: أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّيْنَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ؛ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আবূ নাজীহ্ আল-'ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বক্তৃতায় আমাদের উপদেশ দান করেন যাতে আমাদের অন্তর ভীত হয়ে পড়ে ও আমাদের চোখে পানি এসে যায়।আমরা নিবেদন করি: হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে বিদায়কালীন উপদেশ; আপনি আমাদেরকে অসীয়াত করুন। তিনি বললেন: "আমি তোমাদের মহান আল্লাহকে ভয় করতে অসীয়াত করছি, আর আনুগত্য দেখাতে অসীয়াত করছি; যদি কোন গোলামও তোমাদের শাসক হয় তবুও। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অনেক মতবিরোধ দেখবে; সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাত ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের পদ্ধতি মেনে চল, তা দাঁত দিয়ে (অর্থাৎ খুব শক্তভাবে) ধরে রাখ; আর অভিনব বিষয় সম্পর্কে সাবধান থাক, কারণ প্রত্যেক অভিনব বিষয় হচ্ছে বিদ'আত, প্রত্যেক বিদ'আত হচ্ছে গোমরাহী এবং প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম হচ্ছে জাহান্নামের আগুন।"[-আবূ দাউদ(৪৬০৭) ও তিরমিযী(২৬৬) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এটা সহীহ্ (হাসান) হাদীস।]অর্থ্যাৎ বিদআতের পরিণতি গোমরাহি,আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া,জাহান্নামের শাস্তিভোগ করা। 

হ্যা মিলাদের কিছু মিষ্টির প্যাকেট যদি কেউ কখনো দিয়ে দেয়, তাহলে ঐ মিষ্টি খাওয়া কখনো না জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 212 views
...