প্রশ্নের উল্লেখিত কাজটি জায়েজ নয়। এরকম চিন্তা ভাবনা লালন করা কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত।
★ ঈমান (আকীদা) শক্ত রাখা।
তাহাৎ (তাওহীদ)-এ দৃঢ় থাকা সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিরক্ষা। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা ও নির্দেশ মেনে চলা শয়তান-জ্বিনের প্রভাব কমায়।
★ নিয়মিত কুরআন পাঠ ও মুখস্থ আয়াত-সমূহ রাখা
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা ২:২৫৫) প্রতিদিন পড়া — সকাল/রাত বা নামাজের পরে।
সূরা আল-ইখলাস, আল-ফালাক ও আন-নাস (মুআউয্জাতাইন) — রাতে ঘুমানোর আগে ও সকাল-সন্ধ্যায় ত্রিই বার পড়ার সুন্নাহ প্রচলিত।
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতের পূর্বে পড়লে বাসায় কল্যাণ ও সুরক্ষা আসে —
বাড়িতে কুরআন নিয়মিত তেলাওয়াত চালু রাখুন — সম্ভব হলে মদিনাহ-ভিত্তিক আদব অনুযায়ী সারাদিনে কিছু অংশ পড়া।
---
★রুকইয়াহ (সুন্নাহর রুকইয়া — কুরআন ও দু‘আ দিয়ে)
নিজে নিজে বা একজন বিশ্বস্ত, দ্বীনেমুখী আলেম/হাফেজের কাছে সুযোগ্য রুকইয়া করানো যেতে পারে। রুকইয়া মানে: কুরআন-আয়াত ও নবীর শিক্ষা-কৃত দু‘আ দ্বারা তাবিজ/রোগিত্রাণ।
রুকইয়ার সময় সাধারণত আয়াতুল কুরসি, মুআউয্জাতাইন, সূরা ইখলাস, ফাতিহা ইত্যাদি থেকে পাঠ করা হয় ও কবর দিয়ে হালকা পানি বা বুফ দিয়ে প্রসার করা হয়।
★ দৈনন্দিন আজকার ও সুন্নাহি দো‘আগুলো
সকালে ও সন্ধ্যায় নবীর দো‘য়া-সংকলন (আধার-আধারে):
“আউযুবিল্লাহি মিনাশ-শয়তানির রাজীম” বলা (শয়তানের তাড়না কামনা) এবং “বিস্মিল্লাহ”-এর অভ্যাস।
ঘুমানোর আগে: আয়াতুল কুরসি, মুআউয্জাতাইন ও সূরা ইখলাস ত্রিই বার পড়া।
ঘুমানোর আগে “বিসমিকা-অল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহইয়া” বলা (নবীর সুন্নাহ)।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে “বিস্মিল্লাহ, তাওক্কালতু আলাল্লাহ” ইত্যাদি ছোট দো‘য়া বলা।
গৃহে ওঠা-নামার সময়, বাথরুমে ঢোকার আগে/বের হয়ে আসার সুন্নাহি বাক্যাবলি (নবীর আদব অনুযায়ী) বলা।
★সুরক্ষা মূলক আচরণগুলো করবেন।
ওযু (অল্পতম) রাখা: নিয়মিত ওযু রাখলে শয়তান দূরে থাকে — নবী-সুন্নাহে এর প্রতি গুরুত্ব আছে।
ঘর-পরিস্কার ও আলোর ব্যবহার: অন্ধকারে মন্দ শক্তি সক্রিয় হতে পারে — হালকা ও পরিমিত আলো,পরিষ্কার-শুচিতা রাখুন।
চিত্র/প্রতিমা ও গৃহে নাজায়েজ বস্তু না রাখা।
★বিশেষ কিছু সুন্নাহি আমল — নিয়মিত রুটিন (প্রস্তাবিত)
প্রতিদিন (সকালে ও সন্ধ্যায়):
‘আস্তাগফিরুল্লাহ’/ইস্তেগফার ও সকালে-সন্ধ্যায় মুআউয্জাত এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ।
দু‘আ: “আউজুবিল্লাহিমিনাশশাইতানির রাজীম” সব কাজের আগে।
ঘুমানোর আগে:
ওযু করে বসে আয়াতুল কুরসি ও মুআউয্জাতাইন পড়া, তারপর উপর থেকে হালকা থুতু (বুফ) দিয়ে সমস্ত শরীরে (নবীর প্রক্রিয়া-স্বরূপ) ছোঁয়া (যদি আরামদায়ক মনে হয়)।
নামাজের পরে:
কিছু সময় কুরআন পাঠ ও ধৈর্য্যের সাথে দোয়া করা।
★অন্তরে শান্তি ও ধৈর্য্য রাখুন
প্রতিকূলতা ও পরীক্ষায় ধৈর্য্য ও দোয়াই বড় কাজে আসে। কষ্টে থাকলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন:
“اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ