আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।  আমার এক গভীর প্রশ্ন।  রব্বুল আলামীন কি কোনো ফাসেক ব্যক্তি দ্বারা ইসলামের উপকার করে থাকেন?  যদি করে থাকে তাহলে কেনো করেন? এখানে হিকমা কি? প্রশ্নটা এজন্য যে একজন ব্যক্তি যার ব্যক্তিগত আমল সম্পর্কে অবগত আমি।  অর্থ্যাৎ পাক্কা ফাসেক ব্যক্তি।  একাধিক কবিরা গুনাহে লিপ্ত। বিস্তারিত গুনাহগুলো আর উল্লেখ করছি না।  তবে তিনি ইসলামের অনেক কবুলিয়াত প্রাপ্ত একজন ব্যক্তি৷ উনার অনেক খেদমত আছে এই উম্মাহর মাঝে। অনেকের হিদায়াতের উসিলা তার বয়ান ইত্যাদি। আল্লাহ তাকে অনেক কবুলিয়াত দিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে তার হালত এমন তাও বহুদিন যাবত।  এটা থেকেই আমি জানতে আগ্রহী এখানে রবের হিকমা কি?

1 Answer

0 votes
by (689,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তাআলা অনেক সময় ফাসেক (অপরাধী, অন্যায়কারী, পাপাচারী) লোকদের দিয়েও ইসলামের বা মুমিনদের উপকার ঘটান।
কিন্তু সেই উপকার তার নিজের জন্য নয়, বরং আল্লাহর হিকমাহ ও পরিকল্পনার জন্য।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
“আল্লাহ তাঁর কাজে প্রভাবশালী, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না।”
(সূরা ইউসুফ, আয়াত ২১)

অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁর ইচ্ছামতো যাকে খুশি, যেভাবে খুশি — ইসলাম বা মুমিনদের জন্য উপকারের কারণ বানিয়ে দেন, যদিও সেই ব্যক্তি নিজে পাপাচারী বা মুমিন নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

إِنَّ اللَّهَ لَيُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ

“নিশ্চয়ই আল্লাহ এই দ্বীনকে (ইসলামকে) সমর্থন দেন এমন ব্যক্তির মাধ্যমে, যে ফাসেক (অপরাধী)।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১১)

ইমাম নববী (রহ.) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন:

অর্থ এই যে, আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করতে যাকে খুশি, যেভাবে খুশি ব্যবহার করেন। কখনো এক ব্যক্তি নিজ স্বার্থে, নাম-খ্যাতির জন্য, বা রাজনৈতিক কারণে ইসলামের কাজ করে ফেলে—
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার পরিকল্পনায় সেটাই ইসলামের কল্যাণে পরিণত হয়।
(তাহজীবুল আওয়ালী, শরহ মুসলিম ১৩/৬৭)

★আল্লাহ কেন এমন করেন? (হিকমাহ)

১. মানব সমাজ পরীক্ষা করার জন্য — কে বুঝবে যে ফলাফল আল্লাহর হাতে, কারো হাতে নয়।
২. প্রমাণ করার জন্য যে, ইসলাম কোনো ব্যক্তিনির্ভর নয় — আল্লাহর দীন টিকে থাকে তাঁর ইচ্ছায়, কারো যোগ্যতায় নয়।
৩. হিকমাহ ও তাকদীরের রহস্য বোঝাতে — যেন মানুষ অহংকার না করে, এবং কেউ হতাশও না হয়।
৪. ইসলামের বিজয় কেবল আল্লাহর হাতে — এটা যেন স্পষ্ট হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...