হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ-
وَاخْتَلَفُوا فِي تَرْتِيبِ الأَْوْلِيَاءِ فِي النِّكَاحِ وَذَلِكَ عَلَى التَّفْصِيل الآْتِي:
92 - قَال الْحَنَفِيَّةُ: الْوَلِيُّ فِي النِّكَاحِ الْعَصَبَةُ بِنَفْسِهِ وَهُوَ مَنْ يَتَّصِل بِالْمَيِّتِ حَتَّى الْمُعْتِقِ بِلَا تَوَسُّطِ أُنْثَى عَلَى تَرْتِيبِ الإِْرْثِ وَالْحَجْبِ، فَيُقَدَّمُ الاِبْنُ عَلَى الأَْبِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ خِلَافًا لِمُحَمَّدٍ حَيْثُ قَدَّمَ الأَْبَ، وَفِي الْهِنْدِيَّةِ عَنِ الطَّحَاوِيِّ: إِنَّ الأَْفْضَل أَنْ يَأْمُرَ الأَْبُ الاِبْنَ بِالنِّكَاحِ حَتَّى يَجُوزَ بِلَا خِلَافٍ، وَابْنُ الاِبْنِ كَالاِبْنِ، ثُمَّ يُقَدَّمُ الأَْبُ، ثُمَّ أَبُوهُ، ثُمَّ الأَْخُ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُ الأَْخِ الشَّقِيقِ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ الْعَمُّ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الأَْبِ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الْجَدِّ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، كُل هَؤُلَاءِ لَهُمْ إِجْبَارُ الصَّغِيرَيْنِ وَكَذَا الْكَبِيرَيْنِ إِذَا جُنَّا، ثُمَّ الْمُعْتَقُ وَلَوْ أُنْثَى، ثُمَّ ابْنُهُ وَإِنْ سَفَل، ثُمَّ عَصَبَتُهُ مِنَ النَّسَبِ عَلَى تَرْتِيبِهِمْ
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (41/ 275)]
সারমর্মঃ-
বিবাহের ওয়ালি হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী হলো তার ছেলে, ছেলের ছেলেও ছেলের মতোই,অতঃপর বাবা,অতঃপর তার দাদা,অতঃপর নিজের ভাই,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাই, অতঃপর নিজের ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর নিজের চাচা,অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচা,অতঃপর নিজের চাচার ছেলে,
অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচার ছেলে,অতঃপর অনুরুপ ভাবে বাবার চাচা,অতঃপর অনুরুপ ভাবে তার ছেলে,,,,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের দাদা তার অভিভাবক হবে।
তার দাদা মারা গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তার (বড়) ভাই তার ওয়ালি তথা অভিভাবক হবে।
ওয়ালি” শব্দের অর্থ “দায়িত্বশীল আত্মীয়” — যেমন প্রয়োজনে তার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া, সম্পত্তির বিষয়ে সাহায্য করা, বিয়ের সময় সম্মতি ইত্যাদি।
উক্ত বোনকে তার ভাইয়ের দায়ীত্বে থাকতে হবে। তার আদেশ ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবেনা। তার বৈধ আদেশ মেনে চলতে হবে। তার ভাই তার অন্ন বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা সহ মৌলিক সব খরচ তার বোনকে দিবেন।
কিন্তু যদি এক্ষেত্রে তার ভাই তাকে অন্যায়ভাবে জোর করে, নির্যাতন করে, বা শরীয়তে বাইরে এসে তার ইচ্ছা অগ্রাহ্য করে,মোটকথা মেয়েটি জুলুমে পতিত হওয়ার দরুন বা তার কাছে থাকলে ইসলাম মেনে চলতে না পারার দরুন মেয়েটি যদি ইসলামীভাবে জীবন যাপনের তার থেকে সাময়িক ভাবে আলাদা থাকে,সেক্ষেত্রে আশাকরি তার গুনাহ হবেনা।
তবে স্থায়ী ভাবে নয়,আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা,কথা বলা বন্ধ করা যাবেনা, পূর্ণ ভাবে ইসলাম মেনে চলতে হবে। শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করা যাবেনা। ইসলামী গন্ডির মধ্যেই থাকতে হবে।
ইসলামী গন্ডির বাইরে যাওয়া যাবেনা।
বিবাহের বয়স হলে ভাইয়ের অভিভাবকত্বে বিবাহ করে নিবে।