আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
একজন অবিবাহিত মুসলিম মেয়ে তার মা-বাবার মৃতু্্যর পর তার আপন ভাই কি তার অভিভাবক হবে? কিন্তু সে চাইনা সেটা হোক বিভিন্ন কারণে। সে নিজের মতো থাকতে চাই বাকি জীবন। এখন এরকম সিদ্ধান্ত নেয়াতে কি মেয়েটির গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (688,530 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/86711/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

وَاخْتَلَفُوا فِي تَرْتِيبِ الأَْوْلِيَاءِ فِي النِّكَاحِ وَذَلِكَ عَلَى التَّفْصِيل الآْتِي:
92 - قَال الْحَنَفِيَّةُ: الْوَلِيُّ فِي النِّكَاحِ الْعَصَبَةُ بِنَفْسِهِ وَهُوَ مَنْ يَتَّصِل بِالْمَيِّتِ حَتَّى الْمُعْتِقِ بِلَا تَوَسُّطِ أُنْثَى عَلَى تَرْتِيبِ الإِْرْثِ وَالْحَجْبِ، فَيُقَدَّمُ الاِبْنُ عَلَى الأَْبِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ خِلَافًا لِمُحَمَّدٍ حَيْثُ قَدَّمَ الأَْبَ، وَفِي الْهِنْدِيَّةِ عَنِ الطَّحَاوِيِّ: إِنَّ الأَْفْضَل أَنْ يَأْمُرَ الأَْبُ الاِبْنَ بِالنِّكَاحِ حَتَّى يَجُوزَ بِلَا خِلَافٍ، وَابْنُ الاِبْنِ كَالاِبْنِ، ثُمَّ يُقَدَّمُ الأَْبُ، ثُمَّ أَبُوهُ، ثُمَّ الأَْخُ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُ الأَْخِ الشَّقِيقِ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ الْعَمُّ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الأَْبِ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الْجَدِّ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، كُل هَؤُلَاءِ لَهُمْ إِجْبَارُ الصَّغِيرَيْنِ وَكَذَا الْكَبِيرَيْنِ إِذَا جُنَّا، ثُمَّ الْمُعْتَقُ وَلَوْ أُنْثَى، ثُمَّ ابْنُهُ وَإِنْ سَفَل، ثُمَّ عَصَبَتُهُ مِنَ النَّسَبِ عَلَى تَرْتِيبِهِمْ
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (41/ 275)]
সারমর্মঃ-
বিবাহের ওয়ালি হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী হলো তার ছেলে, ছেলের ছেলেও ছেলের মতোই,অতঃপর বাবা,অতঃপর তার দাদা,অতঃপর নিজের ভাই,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাই, অতঃপর নিজের ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর নিজের চাচা,অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচা,অতঃপর নিজের চাচার ছেলে,
অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচার ছেলে,অতঃপর অনুরুপ ভাবে বাবার চাচা,অতঃপর অনুরুপ ভাবে তার ছেলে,,,,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের দাদা তার অভিভাবক হবে।
তার দাদা মারা গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তার (বড়) ভাই তার ওয়ালি তথা অভিভাবক হবে।

ওয়ালি” শব্দের অর্থ “দায়িত্বশীল আত্মীয়” — যেমন প্রয়োজনে তার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া, সম্পত্তির বিষয়ে সাহায্য করা, বিয়ের সময় সম্মতি ইত্যাদি।

উক্ত বোনকে তার ভাইয়ের দায়ীত্বে থাকতে হবে। তার আদেশ ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবেনা। তার বৈধ আদেশ মেনে চলতে হবে। তার ভাই তার অন্ন বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা সহ মৌলিক সব খরচ তার বোনকে দিবেন।

কিন্তু যদি এক্ষেত্রে তার ভাই তাকে অন্যায়ভাবে জোর করে, নির্যাতন করে, বা শরীয়তে বাইরে এসে তার ইচ্ছা অগ্রাহ্য করে,মোটকথা মেয়েটি জুলুমে পতিত হওয়ার দরুন বা তার কাছে থাকলে ইসলাম মেনে চলতে না পারার দরুন মেয়েটি যদি ইসলামীভাবে জীবন যাপনের তার থেকে সাময়িক ভাবে আলাদা থাকে,সেক্ষেত্রে আশাকরি তার গুনাহ হবেনা।

তবে স্থায়ী ভাবে নয়,আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা,কথা বলা বন্ধ করা যাবেনা, পূর্ণ ভাবে ইসলাম মেনে চলতে হবে। শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করা যাবেনা। ইসলামী গন্ডির মধ্যেই থাকতে হবে।
ইসলামী গন্ডির বাইরে যাওয়া যাবেনা।

বিবাহের বয়স হলে ভাইয়ের অভিভাবকত্বে বিবাহ করে নিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...