আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (12 points)

হিপনোথেরাপি (Hypnotherapy) শব্দটি হিপনোটাইজ বা মনোচিকিৎসার একটি পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যার মাধ্যমে মানুষকে মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন) বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিদেশে অনেকেই এটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করে—যারা মানসিকভাবে কষ্টে আছে বা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে শান্ত করার জন্য এই থেরাপি পরিচালনা করা হয়।

তবে আমি শুনেছি, কেউ কেউ হিপনোথেরাপির নামে জিনের সাহায্যে কাজ করে থাকে, যা ইসলামি দৃষ্টিতে কুফরির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আবার অনেকে শুধুমাত্র মানুষের মনোবিজ্ঞান ও কথার মাধ্যমে থেরাপি দেন, যেখানে কোনো কুফরি কাজ জড়িত থাকে না।

আমি অনলাইনে কাজ করি, বিশেষ করে Fiverr প্ল্যাটফর্মে। এক বিদেশি ক্লায়েন্ট আমাকে বলেছেন, তার হিপনোথেরাপি প্রজেক্টের জন্য একটি রিল্যাক্সেশন মিউজিক কম্পোজ করে দিতে। সে বলেছে, আমার তৈরি করা মিউজিকের ওপর সে তার হিপনোথেরাপির ভয়েস রেকর্ড করবে এবং সেটা তার থেরাপি প্রজেক্টে ব্যবহার করবে।

আমি জানি, মিউজিক ইসলামে হারাম, এবং আমি অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছি — মিউজিকের কাজটাও ইনশাআল্লাহ শিগগিরই ছেড়ে দেব। তবুও প্রশ্নটা হলো:
যদি আমি সেই মিউজিক কম্পোজ করে Fiverr-এর মাধ্যমে তাকে পাঠাই এবং এর বিনিময়ে টাকা গ্রহণ করি, তাহলে কি আমি কুফরির কাজ করে ফেলব?

কারণ আমি নিশ্চিত নই, সে হিপনোথেরাপি জিনের মাধ্যমে করে কিনা, নাকি কেবল মনস্তাত্ত্বিক বা সাইকোলজিকালভাবে করে। যেহেতু হিপনোথেরাপি কখনও জিনের মাধ্যমেও করা হয় বলে শুনেছি, তাই আমি জানতে চাই—এই অবস্থায় আমি মিউজিক কম্পজ করে তাকে ইন্টারনেরে মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলে এটা কুফুরি হবে কিনা

1 Answer

0 votes
ago by (687,630 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামের দৃষ্টিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম। যদি কেউ বৈধ কিছুর  সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্ন সুর বসিয়ে দেয়, সেটাও গুনাহ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। -মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।-ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১
,
নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭ 

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।-সহীহ মুসলিম হাদীস : ২১১৪

মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্র,মিউজিকের বিধান কী হবে তা খুব সহজেই বুঝা যায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার কাজ হালাল হবেনা,আপনার ইনকাম হালাল হবেনা।

তবে এতে আপনার কাজের মধ্যে কোনো কুফরি থাকায় আপনার ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...