আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
উস্তায আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে পর্দার বুঝ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে পর্দা লঙ্ঘন হওয়া ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনেছি যেটা বর্তমান ভার্সিটি গুলোতে চলছে। আল্লাহই ভালো জানেন। সবচেয়ে বড় কথা সহশিক্ষা জায়েজ না এটা জেনে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভার্সিটি পড়বো না। বিকল্প হিসেবে আমি iom এ আলিম কোর্সে ভর্তি হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আল্লাহর এক পাপিষ্ঠ বান্দি। iom এর উসিলায় দ্বীন শিখতেছি। আমি এখানে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে পারিবারিক বাঁ্ধার সম্মুখিন হইতেছি। সবশিক্ষা ছাড়ায় ও আলেমা হতে চাই এটা শুনে আমার পিতা আমাকে সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেছে। প্রতিটাদিন কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে অশান্তি করে বাসায়। যেকারণেই অশান্তি হোক অন্যরা আমাকে দায়ী করে। মানসিক ভাবে আমি বিপর্যস্ত হয়ে আছি। এই মুহুর্তে আমাকে তারা সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার জন্য ফোর্স করতেছে। কিন্তু আমার মানসিক অবস্থা এমন যে আমি পড়ে পরীক্ষা দিতে পারবো না। আমি বলেছিলাম মহিলা কলেজে ভর্তি হবো কিন্তু আমার পিতা রাজি নন। উনি আমাকে সহশিক্ষাতেই পাঠাবেন, কিন্তু আমি ওই পরিবেশে যাবো না,যেতে চাই না তাই সব সহ্য করতেছি।
এখন বিয়ের জন্য বাসায় বলায় এখানেও তারা অশান্তি শুরু করছে। কয়েকটা জায়গা থেকে প্রস্তাব আসছে কিন্তু আমার পছন্দ হয়নি ও ইস্তেখারা করার পর মন অস্থির হয়ে কান্না আসছে। এরপর ওই প্রস্তাব গুলোয় কথা আগায় নি। তবে বেশ অনেকদিন যাবৎ একজন বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিতেছেন উনার সম্পর্কে জেনে আমার ভালো লাগছে ইস্তিখারা করেও মন স্থির। বাসাতেও কথা হইছে। এখন হঠাৎ ছেলের দাঁড়ি আছে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আমার পিতা অশান্তি শুরু করছেন। ছেলের দাঁড়ি আছে, ছেলে নাকি জঙ্গী মানুষ খুন করে এসব অপবাদ দিতেছে এবং আমি যখন বলছি আমি দাঁড়ি পছন্দ করি আমার আপত্তি নাই। এটা বলার পর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে, আত্নীয় স্বজনদের কাছে গিয়ে বলছে আমি নাকি ওই ছেলেকে বিয়ে করার জন্য সহশিক্ষা ছেড়ে হুজুরনি সাজছি। ইত্য্যাদি।
আজকে উনি আমাকে বলছে আমি বাসা বের হয়ে গিয়ে যাকে ইচ্ছা বিয়ে করে নিতাম আর সে আমাকে ত্যাজ্য করবে। আমি বলছি আমার সম্পদ প্রয়োজন নেই। আমি নিজে কেন বিয়ে করবো আমাকে বিয়ে দিয়ে দাও। তখন সে আমাকে বলছে সে আমার বাবা না আমি নিজের টা নিজে বুঝে নিতাম।
এই পরিস্থিতিতে আমার কি করা উচিত?
যিনি বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিতেছেন আর আমার মন স্থির। আমি কি উনার সাথে আমার পরিস্থিতি শেয়ার করবো এরপর উনি বিয়ের জন্য রাজী থাকলে উনার পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে হলে জায়েজ হবে? কিংবা আমি যদি আমার বাসায় বিয়ের জন্য জেদ করি সেটা কি উচিত হবে?
আমার পিতার আচরণ আমার মনের ভেতর প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম দিসে। উনার মুখের দিকেও আমার তাকাতে ইচ্ছা করে না।চুপ থাকার চেস্টা করি, অনেক সময় পারি না। রাগ করে ফেলি আমিও। মাথা ঠান্ডা হলে অনুতপ্ত হই, কষ্ট পাই। আল্লাহু আলাম। এমতবস্থায় আমার কি করা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/408, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1525


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা কখনোই মাতাপিতার অগোচরে কাউকে বিয়ের পরামর্শ দিবো না। বরং আমরা সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করবেন। মাতাপিতার সন্তুষ্টির মধ্যে সন্তানের কল্যাণ নিহিত থাকে। আপনার পিতা মাতার হেদায়েতের জন্য দু'আ করতে থাকুন। দ্বীনের পথে চললে শত বাধাবিপত্তি আসবেই। ঘাবড়াবেন না।ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...