আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (8 points)
#মাইয়্যাত কবরে রেখে তালক্বীন করা সুন্নাত:_____

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে:

যখন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কবরে তালক্বীন দেওয়া হয় তখন মুনকার ও নকীর ফেরেশতাদ্বয় পরস্পর পরস্পরের হাতে ধরে বলেন যে, তাকে প্রশ্ন করে কি হবে, তাকে তো সব শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলো আমরা চলে যাই। অর্থাৎ তালক্বীনের কারণে সে সওয়াল-জাওয়াব থেকে নাযাত পায় অথবা তার জবাব দিতে সহায়ক হয়। (সুবহানাল্লাহ্)।

(দলীলসমূহঃ- ত্বাষ্কানী মুজামুল কবীর, বুলুগুল মারাম, ফিকাহুস সুনান, কবীরি, নূরুচ্ছুদুর, আরকানে আরবায়া, ফতওয়ায়ে রশিদীয়া, ইত্যাদি।)

তালক্বীনের ব্যাপারে পবিত্র হাদীস শরীফে প্রমাণ পাওয়া যায়। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-

اذ مات احدکم من اخوانکم فسویتم التراب علی قبرہ فلیقم احدکم علی رأس قبرہٖ ثم لیقل یا فلان بن فلانۃ فانہ یسمعہ ثم یقول یا فلان بن فلانۃ فانہ یستوی قاعدًا ثم یقول یا فلان بن فلانۃ فانہ یقول ارشدنا یرحمک اللہ ولکن لاتشعرون فلیقل اذکر ما خرجت علیہ من الدنیا شھادۃ ان لّا الٰہ الا اللہ وان محمدًا عبدہٗ ورسولہٗ وانک رضیت باللّٰہ ربًا وّبالاسلام دینًا وّبمحمّدٍ نبیًا وّبالقراٰن اماما فان منکرا و نکیرًا یأخذ کل واحد منھما بیدصاحبہ ویقول انطلق بنا ماقعدنا عند من لقن حجتہ۔ وقال رجل یارسول اللہ فان لم یعرف امہ قال فینسبہ الی امہ حواء یقول یا فلان بن حوٓاء (رواہ الطّبرانی)
অর্থাৎ- তোমাদের কোন মুসলমান ভাই ইন্তেকাল করলে তাকে কবরস্থ করে উপরে মাটি ঠিকঠাক করে দিয়ে তোমাদের কেউ যেন তার শিয়রের কাছে দাঁড়িয়ে এভাবে আহবান করে বলে, হে অমুকের সন্তান অমুক! তখন মৃত লোকটি ঐ আওয়াজ শুনতে পাবে। একই ভাবে দ্বিতীয়বার ডাক দিবে তখন সে সোজা হয়ে বসবে। তারপর আবার ডাক দিলে সে কবরের ভিতর থেকে বলবে আমাকে কিছু উপদেশ দিন; আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাকে রহম করুন। নবীজি এরশাদ করেন- যদিও তোমরা সে আওয়াজ শুনতে পারবে না। অতঃপর শিয়রের কাছে দাঁড়ানো ব্যক্তি যেন বলে- তুমি দুনিয়া হতে যে কালেমায়ে শাহাদাত নিয়ে বিদায় নিয়েছ তা স্মরণ করো। আর স্মরণ করো এ কথা যে, আমি রব হিসেবে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট এবং দ্বীন হিসেবে ইসলামের উপরে রাজি; নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর সন্তুষ্ট এবং পথ প্রদর্শক হিসেবে পবিত্র কুরআনের উপর সন্তুষ্ট।

নবীজি এরশাদ করেন- তালক্বীনের পর মুনকার-নাকীর ফেরেশ্‌তাদ্বয় বলাবলি করে চলো যাই। যাকে নাজাতের দলিল শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তার কাছে বসে থেকে লাভ নেই। জনৈক সাহাবী আরজ করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! যদি মৃত ব্যক্তির মায়ের নাম জানা না থাকে তবে, কার পুত্র বলবো? হুজূর বললেন- সকলের মা হযরত হাওয়া আলাইহাস্‌ সালামার দিকেই সম্পর্ক করে বলবে হে হাওয়ার পুত্র অমুক! -[তাবরানী]

সুতরাং, দাফনের পর যিয়ারত করবে আর যিয়ারতের পর একজন পরহেজগার আলেমে দ্বীন উপরোক্ত নিয়মে কবর তালক্বীন করবেন। এটা মুস্তাহাব ও পূণ্যময়।

[শারহুস্‌ সুদূর, কৃত: ইমাম সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও রদ্দুল মুহতার, কৃত: ইমাম ইবনে আবেদীন শামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইত্যাদি]

উল্লেখ্য থাকে যে, উপরোক্ত নিয়ম ছাড়া ফিকহ ফতোয়ার কিতাবে তালক্বীন করার সময় অন্য ইবারত দিয়েও তালক্বীনের নিয়মসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং উক্ত নিয়ম সমূহের যে কোন নিয়মেও তালক্বীন করা যাবে। [বাহারে শরিয়ত]।

© বিশ্ব আশেক মঞ্জিল অহিদীয়া কালিমীয়া দরবার শরীফ। নাজিরপুর,গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
Wahidiah Kalimiah Darbar Sharif

প্রশ্ন: এই হাদিসের সত্যতা কতটুকু? জানাবেন মিন ফাদ্বলিক।

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি যেই হাদিসটি উল্লেখ করেছেন সেই হাদিসটির শুদ্ধতার মান তথা সনদ নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। অধিকাংশ মুহাদ্দিসীনে কেরাম সেটাকে অত্যন্ত জঈফ হিসেবে গণনা করেছেন। তাছাড়া কোনো কোনো মুহাদ্দিস সেটাকে মওজু হাদিস বলেও উল্লেখ করেছেন। সুতরাং কবরে তালকিনকে  সুন্নাহ বলা যাবে না। 

مأخَذُ الفَتوی
لما فى "ردالمحتار مع الدر المختار":
' ويستحب حثيه من قبل رأسه ثلاثاً، وجلوس ساعة بعد دفنه لدعاء وقراءة بقدر ما ينحر الجزور، ويفرق لحمه.
(قوله: وجلوس إلخ) لما في سنن أبي داود «كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا فرغ من دفن الميت وقف على قبره وقال: استغفروا لأخيكم، واسألوا الله له التثبيت ؛ فإنه الآن يسأل۔» وكان ابن عمر يستحب أن يقرأ على القبر بعد الدفن أول سورة البقرة وخاتمتها'.(2/237، باب صلاۃ الجنازۃ، ط؛ سعید)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...