ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)
মৃত্যু পরবর্তী সম্পদকে আল্লাহ তা'আলা নিজেই বন্টন করে দিয়েছেন।তাই কারো মৃত্যুর পর আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত বিধি-বিধানের আলোকেই তার সম্পদ বন্টন করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিছকে তার নির্ধারিত অংশ ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু দেয়া যাবে না বা তার ওসিয়ত করা যাবে না। জায়েয হবে না।তবে বাকী সমস্ত ওয়ারিছদের সম্মতিতে কোনো এক ওয়ারিছকে সমস্ত সম্পত্তি বা তার নির্ধারিত অংশের চেয়ে বেশী দেয়া যাবে। মৃত্যুর সময় এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তিকে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য যে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয আছে।সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা সকর সন্তানকে ইসলামিক উপায়ে টাকা না দেয়ার কারণে যদিও বাবার গোনাহ হবে না তবে বাবা জন্য কমবেশ করা অনুচিত। হ্যা, কাউকে বঞ্চিত করা উদ্দেশ্য হলে, তখন গোনাহ হবে। এই টাকাটা ব্যবহার করার কারণে ছেলে এবং বড় মেয়ে তাদের ছোট বোনের হক নষ্ট করার কারণ হবে না। তারা গুণাহগার হবে না।