আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

১ম ধাপে, বাবা ছেলেকে ৪০ লক্ষ টাকা দেন ব্যবসা করার জন্য। পরে কয়েক বছর পর বড় মেয়েকে ২০ লক্ষ ও ছোট মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা দেন। ছেলেকে ও ছোট মেয়েকে দেয়া টাকা থেকে তিনি কোন প্রফিট নেন না। কিন্তু বড় মেয়েকে দেয়া ২০ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্টের শর্তে দেয়া যেখান থেকে তিনি বছরে প্রফিট পান। উল্লেখ্য, কোন ছেলেমেয়েই পুরোপুরি সত্যিটা জানে না কাকে কত টাকা  দেয়া হয়েছে।
২য় ধাপে, আরও কয়েক বছর পর বাবা ২০ লক্ষ টাকা ছেলেকে আবারও দেন ব্যবসার জন্য মেয়েদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই। এবার ইনভেস্টমেন্টের শর্তে দেয়া হয়। বড় মেয়েকেও ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হবে একই শর্তে। মাসিক একটা প্রফিট দেয়া হবে বাবাকে। ছোট মেয়ে কিছুই পায়নি, এমনকি পুরো  সত্যও তাকে জানানো হয় নি।
বাবা বলে রেখেছেন তার মৃত্যুর পর এই ১ম ও ২য় ধাপের পুরো টাকাটাই ৩ ভাই বোনের মধ্যে শরীয়াহ অনুযায়ী বন্টন হবে। এই দায়িত্ব মুলত দেয়া হয়েছে ছেলেকে যেহেতু সিংহভাগ টাকাই তার কাছে। ইনভেস্টমেন্ট আকারে বাবা টাকাটা দিলেও তিনি বলেছেন এই টাকাটা তিনি আর ফেরত নিবেন না।
বড় মেয়ের বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার কিছু কারণ আছে-
১. যাতে পুরো টাকাটাই ভাইয়ের কাছে কুক্ষিগত না হয়ে যায়।
২. বোনেরা যে টাকাটা বাবার মৃত্যুর পর পাবে সেটার কিছু অংশ যাতে নিজেদের কাছে রাখা যায়। তাহলে হ্যাসেল ছাড়া নিজের এবং ছোট বোনের কিছু অংশ টাকা পাওয়া যাবে ইংশাআল্লাহ।
৩. বাবার মৃত্যুর পর ভাই-বোনের সম্পর্কে টাকার কারণে যে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে তা মিনিমাইজ করে আনা।
এখন আমার প্রশ্ন-
বাবা সব সন্তানকে ইসলামিক উপায়ে টাকা না দেয়ার কারণে তো হক নষ্ট হচ্ছে। এই টাকাটা ব্যবহার করার কারণে ছেলে এবং বড় মেয়েও কি তাদের ছোট বোনের হক নষ্ট করার কারণ হবে? তারাও কি গুণাহগার হবে? <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_251022_122623_048.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (723,270 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

মৃত্যু পরবর্তী সম্পদকে  আল্লাহ তা'আলা নিজেই বন্টন করে দিয়েছেন।তাই কারো মৃত্যুর পর আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত বিধি-বিধানের আলোকেই তার সম্পদ বন্টন করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিছকে তার নির্ধারিত অংশ ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু দেয়া যাবে না বা তার ওসিয়ত করা যাবে না। জায়েয হবে না।তবে বাকী সমস্ত ওয়ারিছদের সম্মতিতে কোনো এক ওয়ারিছকে সমস্ত সম্পত্তি বা তার নির্ধারিত অংশের চেয়ে বেশী দেয়া যাবে। মৃত্যুর সময় এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তিকে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য যে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয আছে।সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা সকর সন্তানকে ইসলামিক উপায়ে টাকা না দেয়ার কারণে যদিও বাবার গোনাহ হবে না তবে বাবা জন্য কমবেশ করা অনুচিত। হ্যা, কাউকে বঞ্চিত করা উদ্দেশ্য হলে, তখন গোনাহ হবে। এই টাকাটা ব্যবহার করার কারণে ছেলে এবং বড় মেয়ে তাদের ছোট বোনের হক নষ্ট করার কারণ হবে না। তারা গুণাহগার হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...