আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (56 points)
(اعوذ بالله من الشيطان الرجيم)

বলার পর আমি কি বিশ্বাস রাখবো?

(১) আমি কি এই বিশ্বাস রাখবো যে " শয়তানের অনিষ্ট থেকে আমি আশ্রয় চেয়েছি পড়ার সাথে সাথেই আমি নিরাপত্তা বা প্রটেকশন পাবো"
এই বিশ্বাস রাখা যাবে?


(২) আর যদি এমনেই  (اعوذ بالله من الشيطان الرجيم)

পড়ি কিছু না ভাবি । মানে কিছু আর মনে আলাদাভাবে না ভেবে যদি পড়ে ফেলি কুরআন তিলাওয়াতের আগে বা যেকোনো সময় তাহলে কি অসুবিধা হবে?
(৩) আম্বিয়াদের নাম উচ্চারণ করার পর عليه السلام
পড়লে কি আলাদা ভাবে কোনো বিশ্বাস রাখবো নাকি শুধু পড়লেই হবে?


(৪) সাহাবাদের নাম উচ্চারণ করার পর رضي الله تعالى عنه পড়ার পর কি আলাদা ভাবে কোনো বিশ্বাস রাখতে হবে নাকি শুধু পড়লেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (687,630 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

عليه السلام ‘আলাইহিস সালাম।
 ’ অর্থ, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

যারা নবী নন,তাদের নামের শেষে সরাসরি আলাইহিস সালাম বলা জায়েজ নয়।
হ্যাঁ যদি আম্বিয়ায়ে কেরামদের নাম আলোচনার সাথে তারা ব্যাতিত অন্য কোনো নেককারদের নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে তাবে' হিসেবে আলাইহিস সালাম বলা,লেখা ছহীহ আছে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯০,আহসানুল ফাতওয়া ৯/৩৫,)
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/১০২),

رضي الله عنه 
‘রাদিয়াল্লাহু আনহু’ ‘রাযিয়াল্লাহু আনহু’, 
 বাক্যের অর্থ হলো- আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।  
‘রাদিয়াল্লাহু আনহুম’ আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।  
,
রাদিয়াল্লাহু আনহু এটা সাধারণ ভাবে ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের জন্য ব্যবহার করা হয়,অন্যান্য ব্যাক্তিদের জন্য রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলা যায়।

হ্যা যদি কেহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রেও রদিয়াল্লাহু আনহু বলে,লিখে,তাহলে সেটি নাজায়েজ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯১)
,
পারিভাষিক অর্থে আলাইহিস সালাম আম্বিয়ায়ে কেরামদের নামের সাথেই খাছ।
তবে যিমানান,তাবআন তাদের সংশ্লিষ্টদের নামের সাথেও এটা বলা,লেখা জায়েজ আছে।
সুতরাং যখন শুধু হযরত মারয়াম এর নাম বলা হবে,তখন রাদিআল্লাহু  আনহু বলতে হবে।
আর যদি নাবীদের নামের সাথে হযরত মারয়াম এর নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।

আল্লাহ তায়ালার বানী 
سَلاَمٌ عَلیٰ اِلْیَاسِیْنَ
ইলয়াস আঃ এর উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

قولہ تعالیٰ: {سَلاَمٌ عَلیٰ اِلْیَاسِیْنَ} کما یقال في إسماعیل: إسماعین، وہي لغۃ بني أسد … وقرأ آخرون {سلام علی إدراسین} وہي قراء ۃ ابن مسعود رضي اللّٰہ عنہ۔ وقرأ آخرون: {سلام علی آل یاسین} یعني آل محمد صلی اللّٰہ علیہ وسلم۔ (تفسیر ابن کثیر [الصفت: ۱۳۰] ۴؍۲۸ دار السلام ریاض)
সারমর্মঃ যখন ইলয়াস আঃ এর পরিবারের সাথে ইলয়াস আঃ এর নাম উল্লেখ করা হয়,তখন নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।    

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে আপনি এই বিশ্বাস রাখতে পারেন যে " শয়তানের অনিষ্ট থেকে আমি আশ্রয় চেয়েছি,এবং এটি পড়ার দরুন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে শয়তান হতে নিরাপত্তা বা প্রটেকশন দিবেন,ইনশাআল্লাহ"

(০২)
না,অসুবিধা নেই।


(০৩)
আম্বিয়ায়ে কেরামদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, এমনটি মাথার মধ্যে রাখবেন।

তবে এরকম কোন কিছু মাথার মধ্যে না রাখলেও সমস্যা নেই।

(০৪)
আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি সন্তুষ্টি হোন,এমনটি মাথার মধ্যে রাখবেন।

তবে এরকম কোন কিছু মাথার মধ্যে না রাখলেও সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...