যারা নবী নন,তাদের নামের শেষে সরাসরি আলাইহিস সালাম বলা জায়েজ নয়।
হ্যাঁ যদি আম্বিয়ায়ে কেরামদের নাম আলোচনার সাথে তারা ব্যাতিত অন্য কোনো নেককারদের নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে তাবে' হিসেবে আলাইহিস সালাম বলা,লেখা ছহীহ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯০,আহসানুল ফাতওয়া ৯/৩৫,)
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/১০২),
رضي الله عنه
‘রাদিয়াল্লাহু আনহু’ ‘রাযিয়াল্লাহু আনহু’,
বাক্যের অর্থ হলো- আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।
‘রাদিয়াল্লাহু আনহুম’ আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।
,
রাদিয়াল্লাহু আনহু এটা সাধারণ ভাবে ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের জন্য ব্যবহার করা হয়,অন্যান্য ব্যাক্তিদের জন্য রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলা যায়।
হ্যা যদি কেহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রেও রদিয়াল্লাহু আনহু বলে,লিখে,তাহলে সেটি নাজায়েজ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯১)
,
পারিভাষিক অর্থে আলাইহিস সালাম আম্বিয়ায়ে কেরামদের নামের সাথেই খাছ।
তবে যিমানান,তাবআন তাদের সংশ্লিষ্টদের নামের সাথেও এটা বলা,লেখা জায়েজ আছে।
সুতরাং যখন শুধু হযরত মারয়াম এর নাম বলা হবে,তখন রাদিআল্লাহু আনহু বলতে হবে।
আর যদি নাবীদের নামের সাথে হযরত মারয়াম এর নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।
قولہ تعالیٰ: {سَلاَمٌ عَلیٰ اِلْیَاسِیْنَ} کما یقال في إسماعیل: إسماعین، وہي لغۃ بني أسد … وقرأ آخرون {سلام علی إدراسین} وہي قراء ۃ ابن مسعود رضي اللّٰہ عنہ۔ وقرأ آخرون: {سلام علی آل یاسین} یعني آل محمد صلی اللّٰہ علیہ وسلم۔ (تفسیر ابن کثیر [الصفت: ۱۳۰] ۴؍۲۸ دار السلام ریاض)
সারমর্মঃ যখন ইলয়াস আঃ এর পরিবারের সাথে ইলয়াস আঃ এর নাম উল্লেখ করা হয়,তখন নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।