ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়?(হা-মীম সেজদা-৫২)
বিজ্ঞান সম্পর্কে চিন্তা করা দোষের কিছু নয়।বিজ্ঞানের সেই থিউরীই সঠিক যা কুরআনের মুওয়াফিক হবে। বিজ্ঞানিদের অধিকাংশ যদিও নাস্তিক হয়,তারপরও সর্ব স্বীকৃত বিজ্ঞানকে গ্রহণ করা যাবে।এবং এ নিয়ে চিন্তা করা যাবে।
(২)
কোন নির্দিষ্ট বিষয় যা বিজ্ঞান কর্তৃক প্রমাণিত আর সমাজেও সঠিক বলে পরিচিত এমনকি স্বাভাবিকভাবে ইসলামেরও এতে সমস্যা নেই। সে বিষয় যদি সত্যিকার অর্থে ভুল হয়,তাহলে ঐ বিষয়কে মানা যাবে না।গ্রহণ করা যাবে না। অসত্য জানার পরও সত্যকে বাদ দিয়ে অসত্যকে গ্রহণ করা জায়েয হবে না।এজন্য গোনাহ হবে।
(৩)
বই পুরনো হওয়ায় দোকানে কম দামে বিক্রি করা যাবে।
(৪)
অন্যের ধার করা বই থেকে পড়ে তা মুখস্থ করা যাবে বা লিখে রাখাও যাবে। জায়েয রয়েছে।
(৫)
কারো কোন একটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ যা আল্লাহ আছে কি নেই ? তা প্রমান করতে চায় ( সেটা প্রমাণ করা নয় বরং একটা ধারণা দিতে চায়) কিন্তু তার অন্য কোন প্রমান যদি বিজ্ঞান এর সত্যিকার উন্নতি ঘটায়, তাহলে সহায়ক হিসেবে তার উক্ত থিউরীকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যে, তাকে আদর্শ মানা যাবে না, তবে তার উক্ত মতবাদকে মানা যেতে পারে। এভাবে তার উক্ত মতবাদ কে উপস্থাপন করা যেতে পারে।