আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
438 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
reopened by
আমাদের দেশ প্রচলিত কিছু শব্দ আছে যেমন  খুদা,পরওয়ারদেগার ইত্যাদি ।এসব নামে অনেকেই সাধারণত নেক নিয়াতে আল্লাহকে ডাকে বা জুম্মার বায়ানে ব্যাবহার করতে শুনি।

আমার যতটুকু ইলম আছে আলহামদুলিল্লাহ ,আমার জানা মতে এসব নাম কুরআনে কোঁথাও ব্যাবহার করা হয় নি বা রাসুলে কারিম (সাঃ)-এর সুন্নাহ ও না ?!


১. খুদা,পরওয়ারদেগার ইত্যাদি নামে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কে ডাকা কি  বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত হবে ? এতে  কি বান্দা ( জেনে শুনে বা না জেনে ) ডাকলেও কি সে গুনাহ গার হবে কি না ?
আমি আরও একটি ভিডিও দেখেছিলাম যে খুদা  শব্দটি নাকি একসময় এক প্রজাতির (আস্তাগফিরুল্লাহ আমার সঠিক জানা নেই) শিরকি দেবতার নামের থেকে এসেছে ।
২। উপরিউক্ত বিষয়ের সত্যতা  কি ? (হ্যাঁ সূচক উত্তর হলে) যদি কেউ উক্ত বিষয় না জেনে নেক নিয়াতে আল্লাহ কে এরূপ নামে ডাকে তাহলে কি তার ইমান থাকবে ? এতে করে কি আল্লাহর সাথে শিরক করা হবে । আস্তাগফিরুল্লাহ।

দয়া করে উত্তর দেবেন।জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো মহান আল্লাহ তা'আলাকে খোদা,পরওয়ারদেগার নামে ডাকা জায়েজ আছে।
তবে উত্তম হলো কুরআন হাদীসে বর্ণিত নামেই ডাকা। 

আল্লাহ তা'আলার নিরান্নব্বইটা নামে সীমাবদ্ধ নয় বরং আরও অনেক নাম রয়েছে,যা কোরআন-হাদীস এবং পূর্ববর্তী বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে (মিশকাত শরীফ-১৯৯ টিকা-৪)

যেমনঃ-হাদীসে এসেছে......
 أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَجِلَاءَ هَمِّي.
তরজমাঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ যাকে চিন্তা ও পেরেশানী এসে ঘিরে ফেলবে সে যেন বলে,
হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আপনার ঐ সমস্ত নাম দ্বারা সুওয়াল করছি যা দ্বারা আপনি আপনার নামকরণ করেছেন,অথবা আপনার কিতাবে অবতরণ করেছেন,অথবা আপনার সৃষ্টিজীবের কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন,অথবা কাহার অন্তরে (মাধ্যম ছাড়া) ঢেলে দিয়েছেন,অথবা আপনি যা গোপনে( গাইবের খাযানায়) নাম ধারণ করেছেন (এবং যা অন্য কেউ জানে না)সবকিছুর উচিলায়  আপনার কাছে সুওয়াল করছি,
আপনি কোরআনকে আমার অন্তরের বসন্তদূত বানিয়ে দিন, এবং চক্ষুমনি ও চিন্তা দূরের অগ্রদূত বানিয়ে দিন।
মিরকাতুল মাফাতিহ হাদীস নং২৪৫২

"او الهمت عبادك "اي بغير واسطة وهي اسماءه في اللغة المختلفة
অর্থাৎ- او الهمت عبادك এর অর্থ হল,বিভিন্ন ভাষায় বর্ণিত আল্লাহ তা'আলার পবিত্র নাম(অর্থাৎ নামের অনুবাদ)।
মিশকাত শরীফ (টিকা) পৃঃ২১৬।

ﻗﺎﻝ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : " ﻛﺬﻟﻚ ﺍﻟﺮﺏ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻳﻮﺻﻒ ﺑﺎﻟﻌﺮﺑﻴﺔ " ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ " ، ﻭﺑﺎﻟﻔﺎﺭﺳﻴﺔ " ﺧﺪﺍﻱ ﺑﺰﺭﻙ " ، ﻭﺑﺎﻟﺘﺮﻛﻴﺔ " ﺳﺮﻛﻮﻱ " ، ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺍﺣﺪ ، ﻭﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﺍﻟﺪﺍﻟﺔ ﻋﻠﻴﻪ ﺗﻜﺜﺮ " ﺍﻧﺘﻬﻰ ﻣﻦ " ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ " ( 6 / 568 )

অর্থাৎ-ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেনঃ-রব সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে  আরবী বিভিন্ন শব্দ যেমন আল্লাহ,রাহমান,রাহিম ইত্যাদি শব্দ  দ্বারা বিশেষায়িত করা যায়,এবং ফার্সিতে খোদা-য়া বুযরুক,ও তুর্কিতে সরকুওবী, ইত্যাদি দ্বারাও বিশেষায়িত করা যায়,মনে রাখতে হবে আল্লাহ তা'আলা এক-ই,কিন্তু তাকে বুঝাতে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়।(ফাতাওয়া আল-কুবরা,৬/৫৬৮)
.
বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...