জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মহান আল্লাহ তা'আলাকে খোদা,পরওয়ারদেগার নামে ডাকা জায়েজ আছে।
তবে উত্তম হলো কুরআন হাদীসে বর্ণিত নামেই ডাকা।
আল্লাহ তা'আলার নিরান্নব্বইটা নামে সীমাবদ্ধ নয় বরং আরও অনেক নাম রয়েছে,যা কোরআন-হাদীস এবং পূর্ববর্তী বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে (মিশকাত শরীফ-১৯৯ টিকা-৪)
যেমনঃ-হাদীসে এসেছে......
أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَجِلَاءَ هَمِّي.
তরজমাঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ যাকে চিন্তা ও পেরেশানী এসে ঘিরে ফেলবে সে যেন বলে,
হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আপনার ঐ সমস্ত নাম দ্বারা সুওয়াল করছি যা দ্বারা আপনি আপনার নামকরণ করেছেন,অথবা আপনার কিতাবে অবতরণ করেছেন,অথবা আপনার সৃষ্টিজীবের কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন,অথবা কাহার অন্তরে (মাধ্যম ছাড়া) ঢেলে দিয়েছেন,অথবা আপনি যা গোপনে( গাইবের খাযানায়) নাম ধারণ করেছেন (এবং যা অন্য কেউ জানে না)সবকিছুর উচিলায় আপনার কাছে সুওয়াল করছি,
আপনি কোরআনকে আমার অন্তরের বসন্তদূত বানিয়ে দিন, এবং চক্ষুমনি ও চিন্তা দূরের অগ্রদূত বানিয়ে দিন।
মিরকাতুল মাফাতিহ হাদীস নং২৪৫২
"او الهمت عبادك "اي بغير واسطة وهي اسماءه في اللغة المختلفة
অর্থাৎ- او الهمت عبادك এর অর্থ হল,বিভিন্ন ভাষায় বর্ণিত আল্লাহ তা'আলার পবিত্র নাম(অর্থাৎ নামের অনুবাদ)।
মিশকাত শরীফ (টিকা) পৃঃ২১৬।
ﻗﺎﻝ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : " ﻛﺬﻟﻚ ﺍﻟﺮﺏ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻳﻮﺻﻒ ﺑﺎﻟﻌﺮﺑﻴﺔ " ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ " ، ﻭﺑﺎﻟﻔﺎﺭﺳﻴﺔ " ﺧﺪﺍﻱ ﺑﺰﺭﻙ " ، ﻭﺑﺎﻟﺘﺮﻛﻴﺔ " ﺳﺮﻛﻮﻱ " ، ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺍﺣﺪ ، ﻭﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﺍﻟﺪﺍﻟﺔ ﻋﻠﻴﻪ ﺗﻜﺜﺮ " ﺍﻧﺘﻬﻰ ﻣﻦ " ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ " ( 6 / 568 )
অর্থাৎ-ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেনঃ-রব সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে আরবী বিভিন্ন শব্দ যেমন আল্লাহ,রাহমান,রাহিম ইত্যাদি শব্দ দ্বারা বিশেষায়িত করা যায়,এবং ফার্সিতে খোদা-য়া বুযরুক,ও তুর্কিতে সরকুওবী, ইত্যাদি দ্বারাও বিশেষায়িত করা যায়,মনে রাখতে হবে আল্লাহ তা'আলা এক-ই,কিন্তু তাকে বুঝাতে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়।(ফাতাওয়া আল-কুবরা,৬/৫৬৮)
.
বিস্তারিত জানুনঃ