১.আমি হানাফী মাজহাব ফলো করি, তাহলে আমি কি সাহু সিজদার জন্য ,"" বুখারী শরীফের হাদিস অনুযায়ী শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, সূরা মাসুরার পর দুই সিজদা দিয়ে সালাম ফেরানোর"" এই পদ্ধতি টা ফলো করতে পারি। আমার কাছে এইটা অনেক সহজ এবং ঝামেলাহীন মনে হয়। ব্যক্তিগত পছন্দ কি মাযহাবের উপরে অধিকগ্রহণ যোগ্য হয়?
২. হানাফী মাযহাব অনুযায়ী, বিতর সালাতে দুয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব। কিছুদিন আগে একটা বইয়ের খোঁজ পেয়েছি " নামাজের ভুলত্রুটি" লিখেছেন তানজীল আরেফিন আদনান। তিনি লিখেছেন" নামাজের ভুলত্রুটি [১২]
##*ভুলবশত দুআ কুনুতের পরিবর্তে সূরা ফাতিহা পড়লে কি হবে?
মাসআলা : কেউ যদি দুআ কুনুতের পরিবর্তে ভুলে সূরা ফাতিহা পড়ে ফেলে, তাহলে তার ওপর সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। কারণ, কুরআন-হাদীসের যেকোনো দুআ পড়ার দ্বারাও কুনুতের ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। সূরা ফাতিহার মধ্যে যেহেতু দুআর অংশ রয়েছে, তাই এর মাধ্যমেও কুনুতের ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
[ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, ২/৩৯৮; আন-নাহরুল ফায়িদ, ১/২৮০]
যারা বৃদ্ধা আছেন তাদের তো আর এখন দুয়া কুনুত মুখস্থ হয় না, আবার অনেকে দুয়া কুনুত মুখস্থ করতে চাইলেও সময় সুযোগ মেলে না তাই আর করেও না পরে মুখস্ত।
এই বইয়ের উত্তর অনুযায়ী ঐসব মানুষদের কি আমি দুয়া কুনুতের পরিবর্তে সূরা ফাতিহা / অন্য যেকোনো সুরা যেমন ( ইখলাস,নাস ইত্যাদি ) পড়তে বলতে পারবো ???
৩. ছোটবেলায় যারা শিশুধর্ষণের শিকার হয় অথচ তারা বুঝেও না তাদের সাথে কি হচ্ছে (যেমন আছিয়া সাথে হয়েছে) , ইসলাম মতে এইসব বাচ্চারাও কি তাদের সতীত্ব হারিয়ে ফেলেছে?( উল্লেখ্য - এখানে বাচ্চারাও বেঁচে আছে এবং তাদের যৌনিতে ব্লেট/ কোনো অস্ত্র দ্বারা কাটার মতো কোনো ঘটনা ও নেই/ ঘটেনি)