১। ২০২৫ সালের জুন মাসে আমার বিয়ে হয়েছে। আমার বিয়ের কাবিনের কাগজে মোহরানা লিখা হয়েছিলো ৪লাখ টাকার সোনার গয়না। আমার মোহরানা আমার শ্বাশুড়ির গয়না থেকে আদায় করা হয়েছিলো। সেই সময় তারা স্বর্নের দাম অনুযায়ী আমাকে ৪লাখ টাকার গয়না দেন। কিন্তু আমাদেরকে জানানো হয়নি সেখানে স্বর্ণের পরিমাণ কতটুকু ছিলো। আমাদের পক্ষ থেকে কেউ জানতেও চায়নি। আমাকে গয়না দেওয়ার সময়ও তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর আমাকে মৌখিক মালিকানাও দেওয়া হয়নি। শুধু আমার গায়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। আমি এখনও জানি না আমাকে কি পরিমাণ গয়না দেওয়া হয়েছিলো। শুধু জানতাম সেই সময়ের ৪লাখ টাকার গয়না দেওয়া হয়েছিল। এখন সেগুলোর বাজার মূল্য কত হবে তাও জানি না।
আর গয়না গুলো আমি আমার শ্বশুর বাড়ি আসার পর থেকে আমার শ্বাশুড়ির কাছেই আছে। গয়না গুলো আমার মোহরানার নাম করে দেওয়া হলেও সম্ভবত এর প্রকৃত মালিকানা আমাকে দেওয়া হয়নি। কারণ আমি আমার ইচ্ছামত এই গয়নার ব্যবহার করতে পারি না। আমাকে বিয়ের সময় আমার শ্বাশুড়ি এমন কথা বলেছিলেন যে, আমার শ্বাশুড়ি আমাকে তার গয়না দিয়ে বিয়ে করিয়ে নিয়েছেন তবে আমি যেন এই গয়না আমার দেবরের বিয়ের সময় তার বউকে দেই।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি আমার মোহরানা আদায় হয়েছে?
২। যেহেতু গয়না এখন আমার শ্বাশুড়ির কাছেই রাখা আছে! উনি তার নিজ ইচ্ছায় আমার সেই গয়না বিক্রি করে উনার জন্য নতুন গয়না কিনতে চাইছেন। আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার এতে কোন সমস্যা আছে কি না! আমি তার সামনে কিছু বলতে পারিনি। তবে আমার মনের মধ্যে কিছু কষ্ট লাগে৷ আমি যদি মন থেকে অনুমতি না দিয়ে শুধু ভদ্রতার খাতিরে তার কথায় সায় দেই তাহলে কি তার জন্য আমার স্বর্ণ বিক্রি করে নিজের জন্য কাজে লাগানো জায়েয হবে?
৩। আমার মনের মধ্যে সুপ্ত আশা ছিলো যে আমি আমার মোহরানার টাকা থেকে স্বামীকে সাথে নিয়ে উমরাহ করতে যাব। তবে আমার সেই ইচ্ছা কখনোই পূরণ হবে না। আমার শ্বশুর বাড়ির মানুষ কখনোই ওই গয়না বিক্রি করতে দিবেন না।
এখন আমার জন্য কি এই মোহরানার গয়নার দাবি ছেড়ে দেওয়াই কি উত্তম হবে ?
৪। যদি দাবি ছেড়ে না দেই আর আমাকে আমার মোহরানার প্রাপ্য সম্পদ ভোগের সুযোগও দেওয়া না হয় তাহলে কি আমার স্বামীর গুনাহ হবে?