আমাদের বিবাহের বয়স ৬বছর চলে।আমাদের কোনো সন্তান নেই।দুজনেই সেইম এইজের। দ্বীনে ফেরার পর হারাম সম্পর্ক থেকে বের হতে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে নেই।দুজনেই বেকার ছিলাম।
এখন বলি সমস্যাগুলো:
১.আমি চেয়েছিলাম সরাসরি বিয়ে করতে,মসজিদে খেজুর ছিটিয়ে। সে এবং তার পরিবার তা করেনি। প্রথমে এংগেজমেন্ট হয়েছে। এরপর ঘরোয়াভাবে বিয়ে।এরপর এক বছর পর ২০০জন বরযাত্রীসহ অনুষ্ঠান।
২.তার পরিবারের সাথে আমার কুফু মিলেনি। আমাদের বাড়িতে কেন ওদের আত্মীয়সহ দাওয়াত দেয়না,আমার মা মেয়ে জামাইকে আদর করেনা, উপহার দেয়না আরো অনেক মন্তব্য।
৩.বিয়ের পর থেকে নিয়ে আমি টিউশন পড়িয়ে, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে, আমার বাবা ভাইয়ের থেকে নিয়ে-সবভাবেই তাকে সাপোর্ট করেছি।
৪.বিয়ের ৩বছরের মাথায় আমার চাকরি হয়।সে বেকারই থেকে যায়। এই তিন বছরে আমি আমার বেতন, বোনাস,টিউশন সব টাকা আমি ওকে দিয়েছি।ওর ফ্যামিলিতে খরচ করেছি।
৫.সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা,তার চারিত্রিক ত্রুটি।বিয়ের ১২দিনের দিন ফোনে ওর বাজে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ এর প্রমাণ হাতে পাই আমি।সেটা এই ৬বছরে অনেকবার প্রমাণ পেয়েছি(ন্যুডিটি, মাস্টারবেশন,বাজে চ্যাটগ্রুপ ইত্যাদি)। এতে করে ওর প্রতি আমার ন্যুনতম সম্মানটুকুও অবশিষ্ট নেই।
৭.কোনো কিছু নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলে সে আমার সাথে ৫,৭,১০ এমনকি ১৫দিনও কথা বলেনা। আমার দুইটা প্রেগ্ন্যাসি আল্লাহ দিয়ে আবার নিয়ে নেন। এক বিছানায় থেকেও সে আমার প্রেগ্ন্যাসির খবর জানতে পারেনা।১০-১৫দিন পরে ঝগড়া মিটমাট হলে তখন জানে।(এটা শুনতে হয়তো খুব সহজ,কিন্তু এটাই আমার কাছে সবচে কঠিন এবং কষ্টের। গত ৩বছর ধরে চিকিৎসাধীন।কত ওষুধ, কত টেস্ট, কত ইঞ্জেকশন! শরীর মনের উপর দিয়ে কত ধকল আমার যায়! এতো কাঙ্ক্ষিত সুখবর,তার অজানাই রয়ে যায়??!!)
৮. কিছুদিন আগেও ছোট বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়। আমি একটা বিষয়ে ওকে কমপ্লেইন করি,সেটা এজন্য করি যেন সে আমাকে কেয়ার করে,ভালোবাসে। সে আমাকে উলটা ভুল বুঝে যাচ্ছেতাই গালাগাল দেয়।এরপর তিন দিন আর কোনো কথা নেই। ৪র্থ দিনে আমি খুব অসুস্থ্য হয়ে যাই,সে জানেও না। আমি এমনি অসুস্থ্য তার উপর এই অবহেলা মেনে নিতে পারিনি।আমি গেইটে তালা মেরে রাখি। ওকে বাসায় ঢুকতে দেইনা।
৯. আমি আমার ভুল স্বীকার করি, যে আমি রাগ দেখাই বেশি। কিন্তু সেটা ওর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।সে এটা না বুঝে উলটা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
আমি এখন এটা দুই পরিবারের কাউকে জানাতে চাচ্ছিনা।জানিয়ে লাভও নেই।এলাকার যারা বিচারক সব ঘোষখোর,সুদী মহাজন,নেশাগ্রস্ত। আমি ইসলাম মতো শরঈ সমাধান চাই।
আমি চাচ্ছি যে:
অপশন-১(সংসার করতে চাইলে)
১. মোহরের টাকা দিতে হবে।
২.যে গয়নাগাটি বিক্রি করা হয়েছে তা দিতে হবে(তাদের বাড়ি থেকেই আমাকে দেওয়া গয়না বিক্রি করে শ্বশুরের ঋণ দিয়েছিলাম)
৩.গয়না না দিতে চাইলে মোহরের টাকাকে ৬বছর আগের স্বর্ণের দামে কনভার্ট করে বর্তমান বাজার মূল্যে দিতে হবে।
৪.ঝগড়া হলে কথা না বলে ১০-১৫দিন থাকবে না মর্মে লিখিত দিতে হবে।
৫.আগামী ৬মাসের মধ্যে শুদ্ধ করে কুরআন পড়া শিখতে হবে এবং নিয়মিত পড়তে হবে।
অপশন-২(উপরের শর্ত মেনে না নিলে)
১.বিচ্ছেদ।
২.আমার মোহরের টাকা+বিক্রিত গয়নাগাটির সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে।
৩.বিগত ৬বছরের ভরণপোষণ বাবদ সকল টাকা আনুমানিক হিসাবমতো ফেরত দিতে হবে। যেহেতু সে আমার কোনো ভরণপোষণই দেয়নি।উলটো আমি তাকে সাপোর্ট করেছি।
সাথে আমার থেকে ৩বছরে নেওয়া সকল টাকা(বেতন) ফেরত দিতে হবে। আমার ভাইদের কাছ থেকে নেওয়া টাকাও ফেরত দিতে হবে।
আমার চিকিৎসাবাবদ হওয়া খরচও আমার ভাগ থেকে কাটা যাবেনা কারণ আমাকে চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব তারই।সন্তান হলে আমার একার হতো না,তারও হতো।<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_251011_221951_259.sdocx-->
আমার এই চাওয়া ২টা কী অযৌক্তিক? বা ইসলামী আইনের সাথে বেমানান? দয়া করে জানাবেন। মিন ফাদলিক
আমি চাচ্ছি যে পারিবারিকভাবে সালিশ হলেও যেনো আমি ইসলামকে প্রেজেন্ট করতে পারি।ইসলাম আমাকে কতটুকু বা কী অধিকার দিয়েছে।