আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
হুযুর আমার  উত্তর টি পাইনি তাই আবার প্রশ্ন করছি।উত্তর না দিলে ত আমি পেরেশানি তে ভুগবো
আসসালামু আলাইকুম। আমার আর আমার স্বামীর অতীতে ১তালাক হয়েছে।তাই অতীতের কথা ভেবেই গতকাল রাতে আমার স্বামীকে জিগ্যেস করি যে আল্লাহ মাফ করুক আমাদের কখনো ৩তালাক হয়ে গেলে তুমি কি করবা আলাদা হয়ে যাবো আমরা?আমার স্বামী উত্তরে বললো আলাদা হবো কেন হারাম হবে না আল্লাহর কাছে মাফ চাইবো আল্লাহ চাইলে ত সবই সম্ভব হারাম হিসেবে গণ্য না করে হালাল ই ধরতে পারে। ।আল্লাহ চাইলে ত সব ই পারে তিনি দয়াবান বুঝবে।তার বিশ্বাস ছিলো এরকম।পরে আমি বললাম হারাম মানে হারাম জেনে শুনে হারাম সংসার করবা আবার আল্লাহ হারামকে হালাল করবে এমন বিশ্বাস ত ইমান চলে যায়। আর ইমান নষ্ট হলে স্ত্রী ও তালাক হয়।তুমি তওবা করো। পরে সে রেগে গেসে স্ত্রী তালাকের কথা শুনে আরও সিরিয়াস হয়ে গিয়েছে।বলে যে তুমি শুধু শুধু আমাকে এসব প্রশ্ন ক করো কেন আমি ত আর তোমাকে তালাক দিব না কখনো যে চিরতরে হারাম হব।

আজকে সকালে ফযরের নামাযের পরে আমি জিগ্যেস করি তওবা করসে কিনা বললো রাতে করেছে মনে মনে।তারপর আমি আবার তাকে শিউর ভাবে জানার জন্য জিগ্যেস করলাম যে তুমি কি এই বিশ্বাস থেকে কথাটা বলেছো যে সম্পর্ক হারাম হয়ে গেলেও আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে বেশি বেশি চাইলে আল্লাহ হয়ত হারামের গুনাহ দিবেন না হালাল ই রাখবেন। উত্তরে সে বলে হুম।আমি বললাম ভেবে বলো এসব বললে বিশ্বাস করলে কিন্তু ইমান নষ্ট হয়।বলে আমি ত আর জানতাম না ইমান নষ্ট হয় জানলে ত বলতাম না।সকালে সে রাতের স্বীকারোক্তি টাই দিয়েছে নতুন করে বলেনি যে হারাম হবে না।

আরেকটি বিষয় আমার স্বামী আসলে জানত না বুঝতে পারেনি যে কথা গুলো বললে ইমান নষ্ট হবে  এবং স্ত্রী ও তালাক হবে।ইমান নষ্ট হবে এই ভয় এর থেকে বেশি ভয় পেয়েছে ইমান নষ্ট হলে তালাক হয়ে যায়।কারণ ইমান নষ্ট হলে তওবা করে ফিরে আসা যায়।কিন্তু তালাক ত পতিত হয়েই যায়।মানে সে ইমান নষ্ট হয় এতেও অনুতপ্ত কিন্তু এর চেয়ে তালাক হবে তাই আরও বেশি অনুতপ্ত বা ভয় পেয়েছে।

প্রশ্ন-১)সে না জেনে বুঝে এমন কুফরি কথা বলেছে সত্যি।কিন্তু সে সব জানার বুঝার পর ইমান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকেও তালাক হওয়ার ভয় টা বেশি পেয়েছে।এতে কি আল্লাহ তার অনুতপ্ত হওয়া কবুল করবে?আবার এমন ও না যে ইমান নষ্ট হলে তার কিছু যায় আসেনা।এটাও সে চায়না ইমান নষ্ট হোক।কিন্তু ভয় বেশি তালাক নিয়ে।

প্রশ্ন-২? এসব বিশ্বাস বা বলার পরিনতি এমন হয় আগে জানলে বুঝলে এগুলো বলত না।  না জেনে বুঝে এমন কুফরি কথা বলার কারণে কি ইমান নষ্ট হবে?আমি তালাক হয়ে যাবো?

প্রশ্ন-৩ সকালে পুনরায় জিজ্ঞেস করায় সে রাতের স্বীকারোক্তি টাই দেয়াতে সমস্যা হবে নতুন করে?মানে রাতে ত না জেনে বুঝে বলেছে আর সকালে আমি আবার জিগ্যেস করাতে রাতে কথাটা কিভাবে বলেছে তা ব্যখ্যা করেছে।

1 Answer

0 votes
ago by (681,330 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...