আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
7 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কোনো মহিলা যদি Ai কে বিবরন লিখে দেয় আর ai সেই লেখাটা পুরুষ কন্ঠে ভয়েস দেয়, এই ai এর ভয়েসটা ব্যবসার প্রসারের জন্য ভিডিওতে ব্যবহার করা যাবে? হালাল হবে ইনকাম?

Aaa bbb ccc ddd eee fff ggg hhh ikllhdd vfssh jkjfdd aaetu kkhf gdsstj cfguf vdssr fdssss rrtuk hhkk bbklf njfd hgds jjfd kjgds hgds gdayuj kjgfd jjfss khgd jhres jhgdd jjfd jgds styi nhds ljfd njfs

1 Answer

0 votes
ago by (679,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/17598/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
বিনা প্রয়োজনে পর পুরুষকে সালাম দেওয়া ঠিক নয়। তাই কোনো মহিলা এভাবে পরপুরুষকে সালাম দিলে তার সালামের জবাব দিবে না। তবে মনে মনে জবাব দিতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে। এক্ষেত্রে পর্দার বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া পরপুরুষের সাথে কথা বলার যে আদব কুরআন মজীদে আছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখবে। অর্থাৎ কোমলতা পরিহার করে স্বাভাবিকভাবে শুধু প্রয়োজনীয় কথা বলবে।
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/২৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৬; ফাতাওয়া সিরাজিয়া ৭২,

গায়রে মাহরাম নারীদের সাথে বিনা প্রয়োজনে সালাম আদান প্রদান করা যাবে না। যেমন, পথে চলাচল করা অবস্থায় তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না। তেমনি তারা সালাম দিলে তার উত্তর শুনিয়ে দেওয়া যাবে না।
হাঁ, কোনো প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলতে হলে পর্দা রক্ষা করে কথা বলবে এবং এক্ষেত্রে সালামের মাধ্যমে কথা শুরু করাটাই উত্তম। এমনিভাবে মোবাইলে কথা বলার সময়ও সালাম আদান প্রদান করা যাবে। আর মাহরাম নারীদের সাথে সর্বাবস্থায় সালাম আদান প্রদান করা যাবে।
 মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ২৬৩০০; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৯৪৪৯; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৪৬৮; আননাহরুল ফায়েক ১/২৭১; রদ্দুল মুহতার ১/৬১৬,

এবিষয়ে ‘আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়্যা’-তে এসেছে,

سَلاَمُ الْمَرْأَةِ عَلَى الْمَرْأَةِ يُسَنُّ كَسَلاَمِ الرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ وَرَدِّ السَّلاَمِ مِنَ الْمَرْأَةِ عَلَى مِثْلِهَا كَالرَّدِّ مِنَ الرَّجُلِ عَلَى سَلاَمِ الرَّجُلِ وَأَمَّا سَلاَمُ الرَّجُلِ عَلَى الْمَرْأَةِ فَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ زَوْجَةً أَوْ أَمَةً أَوْ مِنَ الْمَحَارِمِ فَسَلاَمُهُ عَلَيْهَا سُنَّةٌ وَرَدُّ السَّلاَمِ مِنْهَا عَلَيْهِ وَاجِبٌ بَلْ يُسَنُّ أَنْ يُسَلِّمَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَمَحَارِمِهِ وَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ أَجْنَبِيَّةً فَإِنْ كَانَتْ عَجُوزًا أَوِ امْرَأَةً لاَ تُشْتَهَى فَالسَّلاَمُ عَلَيْهَا سُنَّةٌ وَرَدُّ السَّلاَمِ مِنْهَا عَلَى مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهَا لَفْظًا وَاجِبٌ وَأَمَّا إِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ شَابَّةً يُخْشَى اْلافْتِتَانُ بِهَا أَوْ يُخْشَى افْتِتَانُهَا هِيَ أَيْضًا بِمَنْ سَلَّمَ عَلَيْهَا فَالسَّلاَمُ عَلَيْهَا وَجَوَابُ السَّلاَمِ مِنْهَا حُكْمُهُ الْكَرَاهَةُ عِنْدَ الْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ وَذَكَرَ الْحَنَفِيَّةُ أَنَّ الرَّجُلَ يَرُدُّ عَلَى سَلاَمِ الْمَرْأَةِ فِيْ نَفْسِهِ إِنْ سَلَّمَتْ هِيَ عَلَيْهِ وَتَرُدُّ هِيَ أَيْضًا فِيْ نَفْسِهَا إنْ سَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا

যেমনিভাবে পুরুষ পুরুষকে সালাম দেয়া সুন্নাত, অনুরূপভাবে নারী নারীকে সালাম দেয়া সুন্নাত। পুরুষ পুরুষের সালামের উত্তর দেয়া এবং নারী নারীর সালামের উত্তর দেয়ার বিধানও অভিন্ন। তবে পুরুষ নারীকে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে কথা হল, যদি ওই নারী নিজ স্ত্রী, বাঁদি অথবা মাহরাম হয় তাহলে তাকে সালাম দেয়া সুন্নাত এবং তার সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। বরং সুন্নাত হল, পুরুষ তার পরিবারকে ও মাহরামকে সালাম দিবে। আর যদি ওই নারী বেগানা হয় তাহলে যদি সে বৃদ্ধা হয় কিংবা এমন হয় যে, তার প্রতি আকর্ষণ অনুভূত হয় না তাহলে তাকেও সালাম দেয়া সুন্নাত এবং তার সালামের উত্তর সশব্দে দেয়া ওয়াজিব। পক্ষান্তরে সে যদি যুবতী/তরুণী হয় যে, তার মাধ্যমে পুরুষ কিংবা পুরুষের মাধ্যমে সে ফেতনায় পড়ার আশঙ্কা আছে তাহলে তাকে সালাম দেয়া এবং তার সালামের উত্তর দেয়া শাফিঈ মালেকি ও হাম্বলি মাযহাব মতে মাকরুহ। আর হানাফি মাযহাব মতে বেগানা নারী যদি সালাম দেয় তাহলে পুরুষ মনে মনে উত্তর দিবে। আর বেগানা পুরুষ যদি সালাম দেয় তাহলে নারী মনে মনে উত্তর দিবে। (আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়া ৬/১৬৬)

ইমাম নববী রহ. বলেন,

 وإن كانت أجنبية يخاف الافتتان بها لم يسلم الرجل عليها ، ولو سلم لم يجز لها رد الجواب ، ولم تسلم هي عليه ابتداء ، فإن سلمت لم تستحق جواباً

যদি পরনারী এমন হয় যে ,ফিতনার আশঙ্কা আছে তাহলে পুরুষ তাকে সালাম দিবে না। যদি সে সালাম দিয়ে দেয় তাহলে মহিলা উত্তর দিবে না। আর নারী পরপুরুষকে আগে সালাম দিবে না। যদি সে সালাম দিয়ে দেয় তাহলে সে উত্তর পাওয়ার উপযুক্ত হবে না। (আলাযকার ৪০৭)
,
আরো জানুনঃ 
ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে গাইরে মাহরাম মহিলাকে সালাম দেওয়ার ঠিক নয়।
প্রয়োজন বশত হলে সেটি মুবাহ।
যেমনঃ পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যবসা যদি হালাল পন্যের হয়,সেই ভিডিওতে যদি নারীর ছবি না থাকে,শরীয়াহ বিরোধী কিছু না থাকে,কোনো বাদ্য-বাজনা ও হারাম এড না থাকে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...