ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যদি হালাল থাকে,তাতে সুদের কোনো সংমিশ্রণ বা অন্যর হক জড়িত না থাকে, তাহলে সেটা হালাল।তবে ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা ক্ররিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
সে হিসেবে প্রশ্নের বর্ণনা মুতাবেক বাড়ির ভাড়া হালাল হবে।এবং হালতে ইজতেরার তথা অপারগতা ব্যতীত লোন গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অবশ্যই গোনাহগার হবেন।
সামর্থ্য থাকলে উক্ত বাড়ি থেকে ভাড়া গ্রহণ না করাই উত্তম।বা উক্তি বাড়িকে ভেঙ্গে ফেলা বা বিক্রি করে দেয়াই উত্তম।
কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল।"...............বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/669
সে হিসেবে বলা যায় যে,সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই তাকওয়ার সর্বোত্তম স্থর।আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুক।আমীন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কেউ যদি সুদে টাকা নিয়ে বাড়িঘর করে, সেখানে বসবাস করা জয়েয হবে না। ইবাদত করলে সেটা কতটুকু কবুল হবে না , সেটাও নিশ্চত রূপে বলা যাচ্ছে না।
(২) কেউ যদি হজ্জে গিয়ে তাওবা করে, তাহলেও সুদে ক্রয়কৃত সব জিনিষ বা বাড়ি বিক্রয় করে দিতে হবে। কেননা হারাম মালকে সদকা করা ব্যতীত তাওবাহ কবুল হবে না।