আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১.কেউ যদি সুদে টাকা নিয়ে বাড়িঘর করে, সেখানে বসবাস বা ইবাদত করা কি ব্জায়েয?

২. কেউ যদি হজ্জে গিয়ে তাওবা করে, তাহলে কি সুদে ক্রয়কৃত সব জিনিষ বা বাড়ি বিক্রয় করে দিতে হবে? নাকি শুধু তাওবাই যথেস্ট?

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3718 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যদি হালাল থাকে,তাতে সুদের কোনো সংমিশ্রণ বা অন্যর হক জড়িত না থাকে, তাহলে সেটা হালাল।তবে ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা ক্ররিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
সে হিসেবে প্রশ্নের বর্ণনা মুতাবেক বাড়ির ভাড়া হালাল হবে।এবং হালতে ইজতেরার তথা অপারগতা ব্যতীত লোন গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অবশ্যই গোনাহগার হবেন।

সামর্থ্য থাকলে উক্ত বাড়ি থেকে ভাড়া গ্রহণ না করাই উত্তম।বা উক্তি বাড়িকে ভেঙ্গে ফেলা বা বিক্রি করে দেয়াই উত্তম।
কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল।"...............বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/669

সে হিসেবে বলা যায় যে,সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই তাকওয়ার সর্বোত্তম স্থর।আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুক।আমীন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কেউ যদি সুদে টাকা নিয়ে বাড়িঘর করে, সেখানে বসবাস করা জয়েয হবে না। ইবাদত করলে সেটা কতটুকু কবুল হবে না , সেটাও নিশ্চত রূপে বলা যাচ্ছে না। 
(২) কেউ যদি হজ্জে গিয়ে তাওবা করে, তাহলেও সুদে ক্রয়কৃত সব জিনিষ বা বাড়ি বিক্রয় করে দিতে হবে। কেননা হারাম মালকে সদকা করা ব্যতীত তাওবাহ কবুল হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ১১ মার্চে মুফতি ওলি সাহেব তো ভিন্নমত প্রকাশ করলেন!

তিনি বলেন ঃঃ ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।


যদি খরিদ কৃত হালাল থাকে তাহলে তাওবার জন্য সেটা  বিক্রয় কেন শর্ত? আর বাড়িভাড়া খাওয়া হালাল হলে সেখানে বসবাস হারাম হবে কেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...