আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতিল্লাহি ওবারাকাতুহ।
উস্তাদ, বিভিন্ন সময় আমাদের দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণের দরকার পরে। তখন যদি আমরা ঐ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য/ঐ কাঙ্ক্ষিত জিনিস পাওয়ার জন্য বিশেষ কোনো আমল করি তাহলে কী ঐ আমলের প্রতিদান আখিরাতেও পাবো নাকি দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণের সাথে সাথে ঐ আমলের প্রতিদান ও শেষ হয়ে যাবে?যেমন :কখনো কখনো আমরা বিপদে পড়লে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য দুরুদ, ইস্তেগফার, তাহাজ্জুদ, আসমাউল হুসনা, দোয়া কবুলের যত গ্রহণযোগ্য আমল আছে সেগুলো করি।কখনো রিজিকের সমস্যা সমাধানের জন্য,কখনো বা উত্তম বিবাহের জন্য বিশেষ আমল করি যেগুলো সর্বাবস্থায় আমরা তেমন ভাবে পড়ি না যেভাবে বিপদে পড়লে/প্রয়োজন পূরণের জন্য পড়ি। যেহেতু আমরা শুধু বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য/কাঙ্ক্ষিত জিনিস পাওয়ার জন্য আমল করছি তাহলে কাঙ্ক্ষিত জিনিস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের প্রতিদান পাওয়া শেষ হয়ে যাবে নাকি পরকালেও এর পুরষ্কার পাবো।
২.এক হাদিসে দেখেছিলাম যে ব্যক্তি সূরা বাকারা ও সূরা আল ইমরান প্রতিদিন তিলাওয়াত করবে কিয়ামতের দিন তার তাকে ছায়া দিবে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূরা বাকারা আর সূরা আল ইমরান দুটিই তো বড় বড় সূরা দুটি প্রতিদিন কীভাবে পড়বো?
৩.সূরা বাকারা জীন,যাদু,এসব প্যারা নরমাল সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক উপকারী+হতাশা দূর করার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে সূরা বাকারা রেখে যখন সূরা আল ইমরান পড়বো তখন কী সূরা বাকারার এই বরকত গুলো থেকে মাহরুম হয়ে যাবো না উস্তাদ?
৪.সূরা আল ইমরান আর সূরা বাকারা যদি একটা শেষ করে আরেকটা ক্রমান্বয়ে পড়তে থাকি তাহলে পুরো কুরআন কখন, কীভাবে পড়বো উস্তাদ?
আমি সূরা বাকারার বরকত থেকে কোনো ভাবেই মাহরুম হতে চাই না। সূরা আল ইমরান আর বাকারার এই দুটির সওয়াব ও পেতে চাই সাথে পুরো কুরআন ও খতম দিয়ে যেতে চাই । কিন্তু সূরা বাকারা তেলাওয়াত করতে গিয়ে অন্যগুলো করতে পারছি না তাই কীভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না উস্তাদ!আমাকে একটা গাইডলাইন তৈরি করে দিলে ভালো হতো।
জাজাকিল্লাহু খইরান উস্তাদ