আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
শাইখ,পবিত্র কুরআন পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে খাওয়া যাবে কিনা?এটার কোন সহীহ হাদীস বা হাসান হাদীস আছে কি?

#আবার সহীহ হাদীস হতে জানি যে নবী সূরা মুআওবিযাতাইন পড়ে ফুক দিয়ে গায়ে লেপন করতেন,এখন আমি যদি পানিতে পুক দিয়ে খায় সেটা কি বিদআত হবে?

কেন বিদআত হবে?

#আমি যদি কোরআনের কোন সূরা পড়ে যদি শরীরের কোন অংশে ফুক দেয় সেটা জায়েজ হবে কি না?কারণ নবী তো মুআওবিযাতাইন পড়তেন, আমি যদি অন্যগুলো পড়ি তাহলে বিদআত হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাঃ পানিতে ফু দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। 
মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ ইবনু সাবিত ইবনু কায়িস ইবনু সাম্মাস (রহঃ) থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ يُوسُفَ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَقَالَ: ابْنُ صَالِحٍ: مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى ثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ - قَالَ: أَحْمَدُ وَهُوَ مَرِيضٌ - فَقَالَ: اكْشِفِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ عَنْ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ ثُمَّ أَخَذَ تُرَابًا مِنْ بَطْحَانَ فَجَعَلَهُ فِي قَدَحٍ ثُمَّ نَفَثَ عَلَيْهِ بِمَاءٍ وَصَبَّهُ عَلَيْهِ
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত ইবনু কায়িস (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। আহমাদ বলেন, তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন। তিনি বলেনঃ হে মানুষের রব! সাবিত ইবনু কায়িস ইবনু সাম্মাসের রোগ দূর করে দিন। অতঃপর তিনি বাতহান নামক উপত্যকার কিছু ধূলামাটি নিয়ে একটি পাত্র রাখলেন এবং পানিতে মিশিয়ে তার দেহে ঢেলে দিলেন।(সুনানে আবু-দাউদ-৩৮৮৬ শামেলা)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পানিতে ফু দিয়ে রুকইয়াহ করা বিদআত হবে না। 

(২) সমস্ত কুরআনই মানব জাতীর জন্য শিফা স্বরূপ , 
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।) ( সূরা বনি ইসরাঈল-৮২)

তাই আপনি সুরা নাস ও সূরা ফালাক ব্যতীত অন্য সূরা পড়লে বিদআত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...