ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ, وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ, لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
“সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে
আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ।
চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার
অনুরূপ হয়ে যায়। সূর্যের পক্ষে চন্দ্রকে নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। রাতের পক্ষেও দিনের
অগ্রবতী হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।” (সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮-৪০)
সূর্যের চলা এবং এই চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে ব্যাখ্যা করা এটাই
প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রকৃতভাবেই চলমান। আর এই
চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি এবং ঋতুর পরিবর্তন হয়। চন্দ্রের জন্য মনযিল নির্ধারণ করার
অর্থ এই যে, সে তার মনযিলসমূহে স’ানান-রিত হয়। যদি পৃথিবী ঘুরত, তাহলে পৃথিবীর জন্য মনযিল নির্ধারণ করা হত। চন্দ্রের জন্য নয়।
সূর্য কর্তৃক চন্দ্রকে ধরতে না পারা এবং দিনের অগ্রে রাত থাকা সূর্য, চন্দ্র, দিন এবং রাতের চলাচলের
প্রমাণ বহন করে।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যরকে বলেছেনঃ
أَتَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا وَتَسْتَأْذِنَ فَلَا يُؤْذَنَ لَهَا يُقَالُ لَهَا ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا
“হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য
যখন অস- যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন,
আল্লাহ এবং
তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সূর্য অস- যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং
পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অতঃপর তাকে অনুমতি দেয়া হয়। সে দিন বেশী দূরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন’ তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।” এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফেরত যাও, অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে
প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপরে ঘুরছে এবং
তার এই ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস- সংঘটিত হচ্ছে।
অসংখ্য হাদীছের মাধ্যমে জানা যায় যে,
উদয় হওয়া, অস্ত- যাওয়া এবং ঢলে যাওয়া এই কাজগুলো সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত।
এগুলো সূর্য থেকে প্রকাশিত হওয়া খুবই সুস্পষ্ট। পৃথিবী হতে নয়। হয়তো এ ব্যাপারে আরো
দলীল-প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো আমার এই মুহূর্তে মনে আসছেনা। তবে আমি যা উল্লেখ করলাম, এই বিষয়টির দ্বার উম্মুক্ত করবে এবং আমি যা উদ্দেশ্য করেছি, তা পূরণে যথেষ্ট হবে। আল্লাহর তাওফীক চাচ্ছি!
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
কুরআন হাদীসের স্পষ্টত বিবরণ দ্বারা এটাই বুঝা যায়
যে,সূর্য ঘুরে।পৃথিবী কি ঘূরে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,কুরআনের একটি আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে,মহাজগতের সবকিছুই ঘূর্ণমান।চন্দ্র সূর্য পৃথিবী সবকিছুই নিজ
নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণমান।
وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।” (সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮-৪০)
সুতরাং বর্তমান সময়ের কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরামদের ভাষ্য হল,সূর্য এবং পৃথিবী সবকিছুই ঘূর্ণমান। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/7561