আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
6 views
ago in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)
আস সালামু আলাইকুম,
বর্ণনা ০১ঃ
একজন উস্তাদ রুকইয়া শিখান এভাবেঃ
তিনি নজর, হাসাদ, সেহর ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট কিছু আয়াতের একত্রিত ও সংক্ষিপ্ত একটি সেট তৈরী করে নিয়েছেন। এ আয়াতগুলি তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রথমে রোগির ডায়াগোনসিস করে থাকেন। যে বিষয়ের (নজর, হাসাদ, সেহর, ... ) সংশ্লিষ্টতা পান, সে বিষয়ে বিস্তারিত রুকেইয়া করে থাকেন। এতে তাকে বেশ কয়েকদিন এমনকি সপ্তাহ (অর্থাৎ অনেক লম্বা সময়) একই রোগিকে রুকইয়া করতে হয়। তার রুকইয়া পদ্ধতি এতটুকুই। তবে তিনি বড়ই পাতার গোছল, সাপ্লিমেন্টারি ইত্যাদি প্রয়োগ করেন, নেয়ামত প্রাপ্ত ব্যক্তির সাহায্যে কাজ নেন। তিনি তাবিজের ঘোর বিরোধিতা করেন। আয়াতের খাদেম বা মুয়াক্কিল কে শয়তান বলেন ও এ আকীদাকে শিরকী আকিদা বলেন। আমি নিশ্চিত নই, সম্ভবত তিনি হাজিরত পছন্দ করেন না। আয়াতের যাকাত সম্পর্কে তার ধারণা আমার নিকট স্পষ্ট নয়।
বর্ণনা ০২ঃ
আরেকজন উস্তাদ এভাবে শিখানঃ
তিনি প্রথমে বিভিন্ন পদ্ধতির (পানি, সুতা, লবন/চিনি, হাতের মুষ্টি, আয়না, নখ, নেয়ামত প্রাপ্ত ব্যক্তি, কাশফ, তাসবীহ ইত্যাদি) মাধ্যমে হাজিরত দেখেন।  পরে কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে জ্বিনকে রোগির শরীরে কিংবা চোখের সামনে হাজির করেন, বন্দী করেন, কথপোকথন করেন, শাস্তি প্রদান করেন, জেলখানায় বন্দী কিংবা হত্যা করেন।  এটা সাথে সাথেই করেন (দিনের পর দিন নয়)। তিনি তাবিজ প্রদান করেন না তবে তেল/পানি পড়া প্রদান করেন। জ্বিনের দ্বারা কাজ নেয়া পছন্দ করেন না তবে তথ্য নেন। মোয়াক্কেল ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করেন তবে রুহানিয়্যাত বৃদ্ধির জন্য আয়াতের যাকাত আদায় করতে বলেন। তিনি আল্লাহ সোবহানাহু ওয়া তায়ালার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কথা বলেন।

প্রশ্নঃ
১. শরীয়তের মানদন্ডে উভয়ের পদ্ধতিই কী পূর্ণ সঠিক? আংশিক সঠিক হলে কার কোন অংশ বর্জনীয়?
২. আয়াতের যাকাত আদায় কী শরীয়ত সম্মত?  বৈধ ও উপকারি?
৩. কোরআন/সুন্নাহ অনুযায়ী আয়াতের খাদেম বা মোয়াক্কেল কী আছে? তাদের হাসিল করা যায় বা কাজে লাগানো যায়? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে তাদের থেকে কাজ নেয়া কী বৈধ? আল্লাহ সোবহানাহু ওয়া তায়ালার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিষয়টি কী সঠিক?
রুকইয়া শরইয়্যার বিষয়টি বর্তমানে মানুষের মধ্যে ব্যপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। জ্বিন যাদুতে আক্রান্ত বহু মাজলুম ব্যক্তি নিজের/পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট রুকইয়্যা শিখতেছেন। শরীয়ত সম্মত সঠিক বিষয়টি না জানলে ঈমানের বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সাধারন মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় সহযোগিত করার জন্য দয়া করে জবাব দিবেন।
বি. দ্রঃ পদ্ধতি আরো অনেক থাকতে পারে। দুটি বিষয় আমার নজরে আসছে, তাই এ দুটি বিষয় উল্লেখ করে প্রশ্ন করলাম।

এখানে ব্যবহৃত টার্মগুলি প্রচলিত অর্থ বহন করে।

আল্লাহ তায়ালা উত্তম বদলা দান করুন।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...