হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহলে কিতাবরা (ইয়াহুদী ও নাসারা) তাদের চুল ছেড়ে দিয়ে রাখত এবং মুশরিকরা সিথি কাটতো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন বিষয়ে ঐশি নির্দেশনা আসার পূর্ব পর্যন্ত, আহলে কিতাবদের অনুসরণ করতে পছন্দ করতেন। তারপর থেকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চুল কপালের দিকে ঝুলিয়ে দিতেন এবং সিঁথি কাটতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৩৫৫৮; নাসাঈ, হা/৫২৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০৫। আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৪০)
অন্য আরেক হাদীসে এসেছে, হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর মাথায় সিঁথি কাতার ইচ্ছা করতাম, তখন আমি তাঁর চুলকে দুই ভাগে বিভক্ত করতাম এবং কপালের চুলকে নাক বরাবর তাঁর চোখের দু’দিকে ঝুলিয়ে দিতাম। আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৪১
তাছাড়া অনেক সময় চুল লম্বা হওয়ার কারণে এলোমেলো থাকে। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছে- যার মাথায় চুল থাকে, সে যেন তার পরিচর্যা করে।
(আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১১৬)
রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে এক্ষেত্রে দুই ধরনের আমল পাওয়া যায়,দুটিই গ্রহন যোগ্য।
এক,
রাসুল সাঃ চুল আঁচড়াবার সময় ডান দিক থেকে শুরু করতেন।
আবূ দাঊদ হা/৪১৬০, নাসাঈ
দুই, রাসুল সাঃ তাঁর মাথার মাঝখানে সিঁথি করতেন।
আবূ দাঊদ হা/৪১৮৯, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩৬৩৩
★সুতরাং ছেলেদের বাবরি চুল ডান পাশে সিঁথি করাও যাবে, মাঝখানে সিঁথি করাও যাবে।
উভয় পদ্ধতিই হাদীসে পাওয়া যায়।
সিঁথি না করে ছেড়ে রাখা মকরূহ। যেহেতু তাতে আহলে কিতাবের সাদৃশ্য অবলম্বন করা হয়। অবশ্য চুল ছোট হলে সিঁথি না করে স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে রাখায় দোষ নেই।