আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু উস্তাদ।

১. আমি একজনের কাছে ৬০০০৳ পাবো। সে তার ব্যাংকের সুদের টাকা থেকে একটু একটু করে ফেরত দিয়েছে।ঐ টাকা কি আমার জন্য হালাল হবে? যদি ঐ টাকা দিয়ে গোল্ড কিনি তাহলে কি গোল্ডে হারামের মিশ্রণ হবে?

২. আমি তো; তাকে ধার দিয়েছি। তবে ব্যাংকের টাকা ছাড়া অন্য উপায়ে সে ফেরত দিতে পারবে না। এখন হারাম হলে এই টাকা কি করবো? অন্য কাউকে ধার দিয়ে পরে তার থেকে হালাল কোনো টাকা নিলে হবে?

৩. গোল্ড কেনার জন্য যদি কারো কাছে টাকা ধার চাই আর সে যদি তার ব্যাংকের সুদের টাকা ধার দেয় তাহলেও কি আমার জন্য হারাম হবে? আমি টিউশন করে টাকা শোধ করবো।

1 Answer

0 votes
ago by (677,700 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

« أيها الناس إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين فقال ( يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا إنى بما تعملون عليم) وقال (يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم) ». ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر يمد يديه إلى السماء يا رب يا رب ومطعمه حرام ومشربه حرام وملبسه حرام وغذى بالحرام فأنى يستجاب لذلك ».

তরজামা: হে লোক সকল! আল্লাহ তাআলা হলেন পবিত্র। আর তিনি পবিত্রতা ছাড়া কবুলই করেন না। আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে তাই নির্দেশ দিয়েছেন যা রাসূলগণকে দিয়েছেন।  তিনি বলেছেন “হে রাসূলগণ পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং সৎকাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত”। 
(সূরা মুমিনুন-৫২) 

তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন “হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি। (সূরা বাকারাহ -১৭২)

রাসুলুল্লাহ সাঃ এক লোকের কথা বললেন যে দীর্ঘ সফর করে আসে। এবং অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে দু‘ হাত তুলে আল্লাহর দরবারে বলতে থাকে, ইয়া পরওয়ারদেগার! ইয়া রব! । কিন্তু যেহেতু সে ব্যক্তির পানাহার সামগ্রী হারাম উপার্জনের, পরিধেয় পোষাক- পরিচ্ছদ হারাম পয়সায় সংগৃহীত, এমতাবস্থায় তার দেয়া কি করে কবুল হতে পারে?।  (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২৩৯৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ঋণগ্রহীতা স্পষ্টভাবে বলে যে এটি হারাম টাকা এবং ঋণ ফেরত দেয়, তাহলে আপনার জন্য উক্ত টাকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং আপনার অধিকার থাকবে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে দাবি করার যে তিনি হালাল টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। 

তবে, যদি ঋণ পরিশোধের সময় তিনি স্পষ্টভাবে এটি না বলে থাকেন, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি ঋণ আদায় বাবদ উক্ত টাকা নিতে পারবেন।

(০২)
আপনার অধিকার আছে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে দাবি করার যে তিনি হালাল টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। 

(০৩)
আপনি টিউশন করে টাকা শোধ করার পর ধার নেয়া টাকা ও গোল্ড হালাল হবে।
তার আগ পর্যন্ত হারাম থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
উস্তাদ ঋণগ্রহীতা টাকা দিতে চাচ্ছে না। উনি আমার নিকটাত্মীয়। প্রয়োজনে কিছু টাকা খরচ করতে দিতেন। আমি সেখান থেকে একটু একটু করে তার ঋণবাবদ কেটে রাখতাম। নয়তো উনি জীবনেও টাকা দিবে না। আর উনি যে এই টাকা ব্যাংক থেকে দিয়েছেন তা স্পষ্টত আমি জানি। এমন অবস্থায় আমি কি করবো? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...