কুরআন ও হাদিসে প্রকৃত মুমিনের জন্য কিছু মৌলিক করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।
সেগুলো আপনার মধ্যে আসলে আপনি প্রকৃত মুমিন হতে পারবেন।
সংক্ষেপে তা হলো:
---
১. অন্তরের ঈমান দৃঢ় করা
আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস রাখা: তিনি একমাত্র রব, তাঁর সঙ্গী নেই।
ফেরেশতা, কিতাব, নবী–রাসূল, আখেরাত ও তাকদিরের প্রতি ঈমান।
তাওহিদে দৃঢ় থাকা: কেবল আল্লাহর ইবাদত করা, শিরক থেকে দূরে থাকা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
“মুমিন তো তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর আর সন্দেহ পোষণ করেনি…”
(সূরা হুজুরাত ৪৯:১৫)
২. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সময়মতো আদায় করা।
মনোযোগ ও খুশু (নম্রতা) সহকারে নামাজ পড়া।
“যারা নিজেদের সালাতে বিনম্র থাকে, তারাই সফল।”
(সূরা মুমিনূন ২৩:১-২)
৩. হালাল রিজিক ও দানশীলতা
হালাল উপার্জন করা, হারাম থেকে বিরত থাকা।
যাকাত আদায় ও দান-সদকা করা।
৪. সুন্নাহ মেনে চলা
রাসূল ﷺ–এর আদর্শ জীবনধারা অনুসরণ করা।
সুন্নাহ অনুযায়ী ইবাদত, আখলাক ও আচরণে উৎকৃষ্ট হওয়া।
৫. গুনাহ থেকে বিরত থাকা
মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, অহংকার, প্রতারণা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
বড় ও ছোট সব গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করা এবং তওবা করা।
৬. আখলাকে উন্নত হওয়া
সত্যবাদিতা, ধৈর্য, বিনয়, আমানতদারি, ন্যায়পরায়ণতা ও দয়া প্রদর্শন করা।
রাসূল ﷺ বলেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যার চরিত্র উত্তম।” (সহিহ বুখারি)
৭. আল্লাহর স্মরণে জীবিত থাকা
কুরআন তিলাওয়াত, যিকির, দু‘আ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
দুঃখ-কষ্টে ও সুখে সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখা (তাওয়াক্কুল)।
৮. ধৈর্য ও সংগ্রাম
বিপদে ধৈর্যধারণ করা।
সত্য প্রতিষ্ঠায় ও নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা।
৯. নিজের হাত ও জবান হতে অপর মুসলমানকে নিরাপদে রাখা। নিজের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রী প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের হক আদায় করা।
সেটি নাজায়েজ কাজ না হলে এবং এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে এক্ষেত্রে গুনাহ হবে না।
সেটি নাজায়েজ কাজ না হলে এবং এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে এক্ষেত্রে এর জন্য আখেরাতে শাস্তি হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের নির্দেশিত পন্থা গুলো অবলম্বন না করলে আপনি দাইয়ুস এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আপনি যেহেতু পুরুষ, সুতরাং অমুসলিম পুরুষদের দেখলে বা তাদের সাথে জুয়া ছাড়া ক্রিকেট খেললে এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে,শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ না করলে গুনাহ হবেনা।