আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
১।নিয়মিত তাহাজ্জুদ ইশরাক চাশত, আওয়াবীন সহ অন্যান্য নফল নামাজগুলো আদায় না করলে ।

প্রত্যহ কুরআন তেলাওয়াত না করলে ।
মাসনুন দোয়া গুলি সব না পরলে কিছু পরলে ।
নিয়মিত জিকির করি তবে অল্প ।

বান্দার হক নষ্ট করা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়  ।

শরীয়তের সমস্ত বিধান এর উপর আমল চালিয়ে যেতে চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে করা হয় না ।
ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আবার অনর্থক কাজ করি
এখন কি আমি প্রকৃত মুমিন হতে পারবো না?

২।অনর্থক কাজ করলে কি গুনাহ হবে?

৩।অনর্থক কাজের জন্য কি আখিরাতে শাস্তি হবে। প্রকৃত মুমিন যদি না থাকে সে এমনিতে  মুমিন থাকবে তো?

৪।৫ -৬ বছর আগে রোমের কোনে প্রসাব করছিলাম টিনের ঘর মেজ পাকা খুটি কাঠের  সে কোনা কি নাপাক থাকবে। আর সে রোম পাক থাক বা নাপাক থাক সে রুমে ইসলামিক যে কোনো কিছু করা যাবে কিনা?

৫।আমার বউ পরিপূর্ণ পর্দা করতে চায়না আমি বললে শোনেনা রাগারাগি করলে শুধু গোমটা দেয়। এইযে তাকে বলি আর রাগারাগি করি আমিতো তাকে অশ্লীলতার সুযোগ দিতেছিনা আমিকি দাইয়ূস হবো না?


৬।অমুসলিম পুরুষদের দেখলে বা তাদের সাথে জুয়া ছাড়া ক্রিকেট খেললে গোনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (687,630 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কুরআন ও হাদিসে প্রকৃত মুমিনের জন্য কিছু মৌলিক করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।
সেগুলো আপনার মধ্যে আসলে আপনি প্রকৃত মুমিন হতে পারবেন।

সংক্ষেপে তা হলো:
---
১. অন্তরের ঈমান দৃঢ় করা

আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস রাখা: তিনি একমাত্র রব, তাঁর সঙ্গী নেই।
ফেরেশতা, কিতাব, নবী–রাসূল, আখেরাত ও তাকদিরের প্রতি ঈমান।
তাওহিদে দৃঢ় থাকা: কেবল আল্লাহর ইবাদত করা, শিরক থেকে দূরে থাকা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:
“মুমিন তো তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর আর সন্দেহ পোষণ করেনি…”
(সূরা হুজুরাত ৪৯:১৫)

২. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সময়মতো আদায় করা।
মনোযোগ ও খুশু (নম্রতা) সহকারে নামাজ পড়া।

“যারা নিজেদের সালাতে বিনম্র থাকে, তারাই সফল।”
(সূরা মুমিনূন ২৩:১-২)

৩. হালাল রিজিক ও দানশীলতা

হালাল উপার্জন করা, হারাম থেকে বিরত থাকা।
যাকাত আদায় ও দান-সদকা করা।

৪. সুন্নাহ মেনে চলা

রাসূল ﷺ–এর আদর্শ জীবনধারা অনুসরণ করা।

সুন্নাহ অনুযায়ী ইবাদত, আখলাক ও আচরণে উৎকৃষ্ট হওয়া।

৫. গুনাহ থেকে বিরত থাকা

মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, অহংকার, প্রতারণা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।

বড় ও ছোট সব গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করা এবং তওবা করা।

৬. আখলাকে উন্নত হওয়া

সত্যবাদিতা, ধৈর্য, বিনয়, আমানতদারি, ন্যায়পরায়ণতা ও দয়া প্রদর্শন করা।

রাসূল ﷺ বলেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যার চরিত্র উত্তম।” (সহিহ বুখারি)

৭. আল্লাহর স্মরণে জীবিত থাকা

কুরআন তিলাওয়াত, যিকির, দু‘আ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
দুঃখ-কষ্টে ও সুখে সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখা (তাওয়াক্কুল)।

৮. ধৈর্য ও সংগ্রাম

বিপদে ধৈর্যধারণ করা।
সত্য প্রতিষ্ঠায় ও নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা।

৯. নিজের হাত ও জবান হতে অপর মুসলমানকে নিরাপদে রাখা। নিজের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রী প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের হক আদায় করা।

(০২)
সেটি নাজায়েজ কাজ না হলে এবং এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে এক্ষেত্রে গুনাহ হবে না।

তবে মুমিনের সিফাত হল অনর্থক কাজ কর্ম হতে বিরত থাকা।

(০৩)
সেটি নাজায়েজ কাজ না হলে এবং এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে এক্ষেত্রে এর জন্য আখেরাতে শাস্তি হবেনা।

প্রকৃত মুমিন যদি না থাকে, সে এমনিতে মুমিন থাকবে।

(০৪)
ঐ মাটি পাক। 
তবে তার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়তে হবে। সরাসরি নয়।

সে রুমে ইসলামিক কোনো কিছু করা যাবে।

(০৫) 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের নির্দেশিত পন্থা গুলো অবলম্বন না করলে আপনি দাইয়ুস এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এক্ষেত্রে করনীয় জানুনঃ- 
আপনি যেহেতু পুরুষ, সুতরাং অমুসলিম পুরুষদের দেখলে বা তাদের সাথে জুয়া ছাড়া ক্রিকেট খেললে এবাদত আদায় প্রতিবন্ধক না হলে,শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ না করলে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...