আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। উস্তায একটা বিষয় জানার ছিলো। দ্বীনের পথে ফেরার পর যারা মোটামোটি প্র‍্যাক্টিসের উপর থাকে, হকভাবে ইলম শিখে সেটাকে আমলে পরিণত করার চেষ্টায় থাকে তাদের অনেকেরই নিয়্যাত থাকে কুরআন হিফজ করার। আমারও ছিলো। কিন্তু আমি তখন ভালো করে কুরআন টা পড়তে জানতাম না, তাজবীদ টা ভালো ছিলোনা। তারপর আমি IOM এর আলিম ব্যাচে ভর্তি হই এবং তাজবীদ শেখাটা শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ এখন ৪র্থ সেমিস্টারে। আমি মোটামোটি পড়তে পারি। অনেকেই বলেছেন আমার লাহানে জালি তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু সমস্যা হলো মোটা হারফ, বিভিন্ন সিফাত এপ্লাই এ। সেভাবে পুরো কুরআন টা এখনো নাজেরা করা হয়নি। তা আমার একটা ফ্রেন্ড এর থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে আমি হিফজে ভর্তি হলাম। বললো যে পড়া শোনানোর সময় কারেকশন পেতে পেতে হিফজও হবে পড়াটাও সুন্দর হবে। উস্তায অনলাইনে চারপাশে এতো শত কোর্স তাজবীদের ! আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। যেখানে যেখানে পড়া শোনাচ্ছি খালি বলে আপু এই সিফাত ঠিক করেন, ঐ সিফাত ঠিক করেন, এই এক আইনের হারফ এর কারেকশন পেতে পেতে আমার মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মাখরাজ পয়েন্ট থেকেই উচ্চারণ করার। আচ্ছা এই  হলো একটা বিষয়। এখন দুইটা কোর্সে আমি হিফজের ক্লাস করে দেখছিলাম কোনটায় কেমন, তো একটা কোর্সে এতো হারে সিফাতের কারেকশন দিচ্ছে ! আরেকটা কোর্সে উস্তাযা বলছেন  হিফজের জন্য সিফাত জরুরি না, তবে হিফজের পাশাপাশি সিফাত সুন্দর করা যায়। তো আমি উনার কাছে অন্য কিছু স্টুডেন্ট এর পড়া দেয়া শোনলাম, সেই স্টুডেন্ট যে কি বলছেন আমি কিছু বুঝতেছিলাম না তিলওয়াত। কিন্তু উস্তাযা দেখি কারেকশন দিচ্ছিলেন মাঝে মাঝে। আমি ভাবলাম কীভাবে বুঝতেছেন ! আচ্ছা যাইহোক, উস্তায আমি চেয়েছিলাম নাজেরা করেই হিফজের দিকে যেতে, কিন্তু আমি মাঝখান দিয়েই কীভাবে যেনো হিফজের জন্য পড়া শুরু করে দিলাম নিয়ত করে। ৩০ পারা দিয়ে শুরু করেছি। এখন ছাড়তে ইচ্ছে করছেনা। আবার কনফিউশনে ভুগছি আমার তিলওয়াতের সমস্যা নিয়ে কি হিফজ করা পসিবল? মানে আমি পড়তে পারি। বাট মোটা হারফ গুলো যতই প্র‍্যাক্টিস করছি হচ্ছেনা। সিফাত হচ্ছেনা । এতো কারেকশনের পাল্লায় পাগল পাগল লাগতেছে। আবার কোথাও কোথাও গিয়ে দেখছি তারা বলছে সিফাতটা মেন্ডেটরি না আস্তে আস্তে ঠিক হবে। কেউ কেউ বলছে সিফাত কবে পুরো প্রপার হবে আর কবে হিফজ শুরু করবা ! এখনই করো।


উস্তায একটু কিছু বলেন তো এসব বিষয়ে। আমার প্রচুর এংজাইটি কাজ করতেছে কয়েকদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে। শুধু কান্না আসতেছে আর কান্না আসতেছে। আমি তো শুরু করে ফেললাম নিয়্যাত করে। এখন ছাড়তেও ইচ্ছে করছেনা।
সাহাবীরা কীভাবে মুখোস্ত করতেন? সিফাত সহ?

1 Answer

0 votes
by (677,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ يَجِيئُ الْقُرْاٰنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ يَا رَبِّ حَلِّهِ فَيُلْبَسُ تَاجَ الْکَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ زِدْهُ فَيُلْبَسُ حُلَّةَ الْکَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَيَرْضَی عَنْهُ فَيُقَالُ لَهُ اقْرَأْ وَارْقَ وَتُزَادُ بِکُلِّ اٰيَةٍ حَسَنَةً.
ترمذي، السنن، 5: 178، رقم: 2915، بيروت، لبنان: دار احياء التراث العربي

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন   কিয়ামতের দিন কুরআন আসবে ও বলবে: হে আমার রব, তাকে পরিধান করাও, তাকে সম্মানের টুপি পড়ানো হবে। অতঃপর সে বলবে: হে আমার রব, তাকে বৃদ্ধি করে দাও, তাকে সম্মানের অলঙ্কার পড়ানো হবে, অতঃপর সে বলবে: হে আমার রব তার উপর সন্তুষ্ট হও, তিনি তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। অতঃপর তাকে বলা হবে: পড় ও উপড়ে চর এবং প্রত্যেক আয়াতের মোকাবিলায় একটি করে নেকি বর্ধিত করা হবে”।
,
হাফিযগণ জান্নাতের উঁচু মর্যাদার অধিকারী: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
্রيُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ: اِقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا

“কুরআনের ধারককে বলা হবে, ‘তুমি পড় ও চড় এবং তারতীলসহ পড়, যেভাবে তারতীলসহ দুনিয়াতে পড়তে। কারণ, তোমার মর্যাদা সর্বশেষ আয়াতের নিকট, যা তুমি পড়বে।”
তিরমিজি ২৯১৪,আবু দাউদ ১৪৬৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জন্য পরামর্শঃ-
আপনি প্রথমত কোন একজন দক্ষ শিক্ষিকার কাছ থেকে কোরআন শরীফ শুদ্ধভাবে মাখরাজ সহকারে পড়া শিখবেন।

এরপর আপনি হেফজ কোর্সে ভর্তি হবেন 

আপনি একাধিক কোর্সের শিক্ষিকাদের কাছে পড়া শুনিয়েছেন, যে কারণে একেক জন একেক রকমের সমস্যা ধরতেছে।

আপনার কাছে পরামর্শ থাকবে আপনি শুধু একজনের কাছেই পড়বেন। তাহলে আপনি পড়া দ্রুত আগাতে পারবেন, পাশাপাশি অন্য কোন সমস্যা আশা করি হবে না,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...