আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)

আসসালামু আলাইকুম

দয়া করে কষ্ট করে ধৈর্য নিয়ে নিচের লেখাগুলো পড়বেন। 

আমি একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকি। বেশ কিছুদিন ধরে তিন বছর আগের একটি ঘটনা নিয়ে বেশ চিন্তিত আছি। তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালে এক বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার বাসার কিছু বড় ভাই আমার ফুটবল নিয়ে খেলতে বের হন কিন্তু আমি সেদিন বাসাতে ছিলাম না । বাসায় এসে শুনি যে খেলার মধ্যে এক সময় একটা কুকুর যে কুকুরটা আমাদের বাসার নিচেই থাকে সেই কুকুরটা খুব সম্ভবত (যদিও আমি নিশ্চিত না কারণ আমি ছিলাম না) বলটি ধরতে যাই বা বলের সংস্পর্শে আসে। বর্তমানে এখন এসে বারবার আমার মাথায় একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে ওই ফুটবলটির মাধ্যমে আমার বাসার প্রায় সব জিনিস নাপাক হয়ে গিয়েছে। আমার যতদূর মনে পড়ে খেলে আসার পর এক বড় ভাই অন্য আরেক বড় ভাইকে বলেছিল বলটি ধোয়ার জন্য কিন্তু উনি বলটি পরিষ্কার করেছিল কিনা আমি নিশ্চিত না (তবে আমি যখন বলটি দেখি আমার মনে হয়েছে বলটি পরিষ্কার করা হয়নি) এবং উনি বর্তমানে আমাদের সাথে থাকেন না এবং এত আগের কথা তার মনে থাকারও কথা না। এজন্য আমি অন্য একজন বড় ভাই যিনি ওইদিন খেলেছিলেন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি কিন্তু উনি বলটি কুকুরের সংস্পর্শে এসেছে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও কামড়েছে কিনা এই ব্যাপারে নিশ্চিত না বা এত বড় বল কামড়াতে পারার কথাও না।

ওই বল দিয়ে আমি নিজেই একা আমার ব্যক্তিগত রুমের মধ্যে খেলেছিলাম।  তবে আমি বলটি ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম তবে সেটি খেলার আগে ধুয়েছিলাম নাকি পরে সেটা নিশ্চিত হতে পারছি না। তবে বেশি মনে হচ্ছে যে আমি খেলার আগেই বলটি ধুয়ে নিয়েছিলাম।

তবে আরেকটি বিষয়,  যতদূর মনে পড়ে  বলটি পরিষ্কারের আগে আমার ব্যক্তিগত রুমের বাইরে বাসার ড্রয়িং রুমে অন্যান্য বড় ভাইদের সাথে খেলা হয়েছিল। কিন্তু খেলার পরে আমি আমার জামা কাপড় ও ঘরে পরা জুতা পরিষ্কার না করেই আমার বিছানাতে উঠেছিলাম কিনা মনে পড়ে না। আর যদি জামা কাপড় ও জুতা পরিষ্কার না করেই বিছানাতে উঠে পড়ি তবে আমার মনে হচ্ছে বিছানা থেকে বাসার সব জায়গাতে এমনকি মোবাইল ল্যাপটপ চার্জার মাল্টিপ্লাগ সহ সব জায়গায় নাপাক ছড়িয়ে গিয়েছে।

(যতদূর মনে পড়ে ওই সময় নাপাকি নিয়ে সচেতন থাকলেও কুকুরের নাপাকি নিয়ে তেমন কিছু জানতাম না বা মনে করতাম না যেমনটা এখন করি। ওই সময় এমন কিছু ঘটেছিল বা এমন কোন যুক্তি মাথায় এসেছিল যার কারণে ভেবেছিলাম এই ঘটনাতে কোন সমস্যা নেই, তবে এখন তা মনে নেই। )

আমার সমস্যা এতটাই তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমি আমার কাপড়ের ওয়ারড্রব, এসি, খাট, খাটের তোশক সহ অনেককিছুই হয় ফেলে দিয়েছি না হয় বিক্রি করে দিয়েছি।

২০২৫ সালের শুরুর দিকে আমার বেশ কিছু জামাকাপড় আমি পরিষ্কার হতে তুলে ব্যাগের মধ্যে রাখি। কিন্তু ৫-৬ মাস পরে এখন এসে আমার মনে হচ্ছে উক্ত ঘটনার কারণে আমি যখন জামা কাপড় গুলো তুলে রেখেছিলাম তখন আমার হাত নাপাক ছিল। অথচ ৫-৬ মাস আগে যখন জামা কাপড় গুলো তুলে রেখেছিলাম তেমন কিছুই মনে হয়নি। এখন এসে মনের মধ্যে তীব্র সন্দেহ হচ্ছে।

মূলত সে সময় এসব বিষয় নিয়ে এত কিছু ভাবি নি। তিন বছর পর ২০২৫ সালে এসে আমার মনে হচ্ছে যে এই ঘটনার মাধ্যমে সবকিছুই হয়তো নাপাক হয়ে আছে বা আমি যে যে কাজ করেছি, যা যা স্পর্শ করেছি তার সাথে কোন না কোন ভাবে নাপাক এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি নাপাক নিয়ে সেই সময়ও সচেতন থাকতাম এবং এখনো সচেতন থাকি। তবে এই ঘটনাটা আমাকে অত্যন্ত মানসিকভাবে চিন্তিত করছে, সব সময় মনে হয় আমি যেন নাপাক বা অপবিত্রতার সাথেই জীবন যাপন করছি। ইবাদতে মনোযোগ দিতে পারছিনা, সালাত আদায় করতে গেলেই এসব বিষয় মনে পড়ে। পড়াশোনাতেও মনোযোগ দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এতদিন পরে এসে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ারও কোন পথ পাচ্ছি না। এটা কি শয়তানের  ওয়াসওয়াসা নাকি অন্য বিষয় আমি বুঝতে পারছি না। এখন এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি দয়া করে আমাকে জানাবেন।

আমার ব্যবহৃত জামা কাপড়, ইলেকট্রনিক্স জিনিস সহ যে জামা কাপড়গুলো আমি ব্যাগের মধ্যে উঠিয়ে রেখেছিলাম সবকিছু কি নাপাক হয়ে থাকবে?

<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250926_142902_552.sdocx-->কি পরিমাণ পেরেশানিতে আছি বলে বোঝাতে পারবো না। দয়া করে কষ্ট করে ধৈর্য নিয়ে পড়বেন এবং আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম 
একটু কষ্ট করে পড়বেন।
একটা বিষয় যোগ করতে চাই।
২০২২ সালে উক্ত ঘটনা হওয়ার পর সম্ভবত এমন যুক্তি মাথায় এসেছিলো যে, " যেহেতু আমি নিজে কিছু দেখি নাই অর্থাৎ নিশ্চিত জ্ঞ্যান নাই, এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই। " তখন খুব সম্ভবত কুকুরের লালা যে নাপাক এটা জানা ছিল না।
by (4 points)
পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোর এ দেখান। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিকেলের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে ও ব্রেইনের সেরোটোনিন নামক একটা  নিউরোকেমিক্যালের হ্রাস-বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়, যা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকবে এবং এ চিন্তা চলতেই থাকবে।  ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (709,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...