শরীয়তের বিধান হলো চার রাকাত বা তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদের পর ভুলে দরূদ বা দুআয়ে মাসুরা মিলিয়ে ফেললে সাহু সেজদা আবশ্যক হবে।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
عن الشعبي ، قال : من زاد في الركعتين الأوليين على التشهد فعليه سجدتا السه (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، ما يقال بعد التشهد مما رخص فيه، رقم الحديث-3039
হযরত শাবী রহঃ বলেন-যে ব্যক্তি প্রথম দুই রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদের পর কোন কিছু পড়ে, তাহলে তার উপর দুই সেজদা দেয়া আবশ্যক। তথা সেজদায়ে সাহু। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৩৯}
فى الدر المختار– ولا يصلي على النبي صلى الله عليه وسلم في القعدة الأولى في الأربع قبل الظهر والجمعة وبعدها ) ولو صلى ناسيا فعليه السهو (الفتاوى الشامية، كتاب الصلاة، باب الوتر والنوافل-2/456، الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الباب الثانى عشر فى سجود السهو-1/127، مراقى الفلاح، باب سجود السهو-376
সারমর্মঃ
প্রথম বৈঠকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করবেনা,কেহ যদি ভুলক্রমে পাঠ করে,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
তাশাহুদের পর শুধুমাত্র ৪২ হরফ পরিমাণ পড়লে তথা “আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মদ” পর্যন্ত পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়ে যায়। {আহসানুল ফাতওয়া-৪/২৯.৩০}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা ইমাম যদি প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের পরে দুরুদ শরীফ পড়ে ফেলে, তাহলে সেজদায়ে সাহু আদায় করা ওয়াজিব হবে।
,
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য এমন দোয়ার অনুমতি দেওয়া যায়।
তবে এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদেশ ছিলো রোযা রাখা।
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: إِنِّي لَأَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ بِمِنًى إِذْ لَقِيَهُ عُثْمَانُ فَاسْتَخْلَاهُ فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللَّهِ، أَنْ لَيْسَتْ لَهُ حَاجَةٌ قَالَ لِي: تَعَالَ يَا عَلْقَمَةُ فَجِئْتُ فَقَالَ لَهُ: عُثْمَانُ أَلَا نُزَوِّجُكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ بِجَارِيَةٍ بِكْرٍ لَعَلَّهُ يَرْجِعُ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكَ مَا كُنْتَ تَعْهَدُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ
আলকামাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযি.)-এর সাথে মিনায় হাঁটছিলাম। এ সময় ‘উসমান (রাযি.)-এর সাথে দেখা হলে তিনি আব্দুল্লাহ (রাযি.)-এর সাথে নির্জনে আলাপ করেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ যখন দেখলেন, এ বিষয়ে তার কোনো প্রয়োজন নেই, তখন তিনি আমাকে বললেন, হে আলকামাহ! এদিকে এসো। আমি এলে ‘উসমান (রাযি.) তাকে বললেন, হে আবূ আব্দুর রহমান! আমরা কি আপনার সাথে একটি কুমারী মেয়ে বিয়ে দিবো, যাতে আপনি অতীতের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পান? আব্দুল্লাহ (রাযি.) বলেন, আমি এরূপ এজন্যই বলেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ বিয়ের সামর্থ্য রাখলে সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে। কেননা বিয়ে দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌন জীবনকে সংযমী করে। আর যে ব্যক্তির বিয়ে করার সামর্থ্য নাই সে যেন অবশ্যই সওম পালন করে। কেননা সওম তার যৌনস্পৃহা দমনকারী।
(আবু দাউদ ২০৪৬,বুখারী, মুসলিম)