আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in পবিত্রতা (Purity) by (20 points)
edited by
১। প্রসাবের ফোঁটা শরীরে/পায়ে লাগলে কি গোসল করতে হবে?

২। প্রসাবের ফোঁটা লুঙ্গী/কাপড়ে লাগলে কি ঐ কাপড় চেঞ্জ করে নামাজ পড়তে হবে?

৩। প্রসাব করে কি ঢিলা/কুলুফ ব্যবহার করতে হবে? পানি ব্যবহার করলে হবে না?

৪। প্রসাবের পর টিস্যু ব্যবহার করলে অনেক সময় টিস্যু ভিজে হাতের লেগে যায়। তখন কি গোসল করতে হবে?

৫। যারা বাসায় গরু পালন করে তারা সন্ধ্যায় গরুকে ঘরে আনার সময় অনেক সময় গোবর, গরুর প্রসাব শরীরে লেগে যায়। তখন কি আবার গোসল করতে হবে?

৬। আমি খরগোশ পালন করতে চাচ্ছি। ইসলামে কোনো বিধি-নিষেধ আছে? খরগোশের প্রসাব/বিষ্টা শরীরে লাগলে কি গোসল করতে হবে?

৭। (ক) কেউ গোসল করার আগে গোসলের ফরয আদায় করলে বা (খ) গোসলের আগে ওযু করলে গোসলের পর কি নামাজ পড়ার জন্য ওযু করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
গোসল করতে হবেনা,শুধু উক্ত স্থান ভালোভাবে  ধুয়ে নিতে হবে।

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত প্রসাবের ফোঁটার পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

এক দিরহাম ও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
শুধু পানি ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
,  
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন ,হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
,
★সুতরাং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। 
তাই টিস্যু এবং পানি  উভয়টিই ব্যবহার করা ভালো।

ঢিলা নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৪)
গোসল করতে হবেনা,শুধু উক্ত স্থান ভালোভাবে  ধুয়ে নিতে হবে।
,
(০৫)
গোসল করতে হবেনা,শুধু উক্ত স্থান ভালোভাবে  ধুয়ে নিতে হবে।
কাপড়ে লাগলে তিনবার ধুতে হবে,প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।

(০৬)
প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতে জায়েয।
সেই শর্ত গুলো মেনে খরগোশ পালন জরা জায়েজ আছে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
খরগোশের প্রসাব/বিষ্টা শরীরে লাগলে উক্ত স্থান ধৌত করতে হবে।

(০৭)
গোসল শেষে আলাদা ভাবে আর অযু করার প্রয়োজন নেই।
গোসলই পবিত্রতার জন্য যথেষ্ট। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَوَضَّأُ بَعْدَ الْغُسْلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ أَنْ لاَ يَتَوَضَّأَ بَعْدَ الْغُسْلِ .

'আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করার পর ওযু করতেন না। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৫৭৯)।

আবু ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই মত যে, গোসলের পর ওযু করার দরকার নেই।
(তিরমিজি ১০৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...