আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)

হুজুর,

প্রথমে এখানে https://ifatwa.info/127889/ আমি প্রশ্ন করি যে ছোটবেলা থেকে স্পেসিফিক কোনো মাযহাব মানা হয়নি যেহেতু আমার জ্ঞান নেই, বরং আমি পছন্দের দুই তিনজন আলেমকে ফলো করতাম।

 

উত্তরে আপনি বলেন যে এভাবে একাধিক আলেম অনুসরণ বিপদজ্জনক,  এলাকার প্রচলিত মাজহাবের কোনো ইমামকে ফলো করতে বলেন

 

তখন আমি জানাই যে এলাকায় পরিচিত আলেমগণের প্রায় সকলের বিরুদ্ধেই এলিগেশান থাকায় তাদের প্রতি মন থেকে সম্মান আসে না। তাই আমি শাইখ আসিম আল হাকিম এর পূর্ণ অনুসরণ করতে পারবো কিনা জানতে চাই। https://ifatwa.info/127933/

এই প্রশ্নের উত্তরের মাঝামাঝি লিখে ছিলো,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,সুতরাং আপনাকে আমরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাক্তির নয় বরং নির্দিষ্ট একটি মাযহাব অনুসরন করার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

কিন্তু পরিশিষ্টতে আপনি লিখেছিলেন,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

আপনি যদি জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় সমস্ত মাসয়ালার ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত শায়েখ এর ফতোয়া মেনে চলেন,যেকোনো সমস্যায় তার থেকে ফতোয়া নিতে পারেন,সেক্ষেত্রে আপনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।এমতাবস্থায় আপনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হতে খারিজ হয়ে যাবেননা।

 

আমি এই কথার অর্থ ঠিক বুঝিনি, মানে আমি কি গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (716,940 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত আয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রশ্নের মাত্রায় সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসা কি উচিত নয়। 

মফতি সাহেবের কথার অর্থ হল, গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...