আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ
প্রশ্নঃ-০১


আমাদের বিয়ে হয়েছে দশ বছর। আমি ৮ বছর ধরে প্রবাসে থাকি। গ্রীসে থাকায় কাগজপত্র ঠিক না হওয়ায় আমি এই আট বছরে দেশে আসতে পারিনি। আমার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। তার সাথে প্রায়ই আমার নানান বিষয়ে তথা কাটাকাটি, ঝগড়া হতো। আমার বাড়িতে কম থাকা নিয়ে বেশিরভাগ ঝগড়া হতো। এছাড়াও পড়াশোনার জন্য কলেজ, প্রাইভেটে যাওয়াতে কথা কম হওয়া নিয়েও ঝগড়া হতো প্রাতিষ্ঠানিক একটা অনুষ্ঠানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি পাগলামি করায় যে আমাকে বলে, আমার সব কথা শুনবে, আমি যা বলি তাই করবে।


অতপর, আমি তাকে বলি, 'আজকের পর থেকে কলেজ, প্রাইভেট ব্যতীত আমার অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও গেলে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকবেনা এবং তুমি আর আমার বউ থাকবে না। আমার এই কথার উদ্দেশ্য ছিলো তাকে শুধু ভয় দেখানোর। এতে তালাকের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এই ঘটনার কিছুদিন পর আমার স্ত্রী তার আন্টি এক্সিডেন্ট করায় তাড়াহুড়া করে যাবার সময় আমি ঘুমিয়ে থাকায় আমাকে ফোনে মেসেজ দিয়ে সেখানে চলে যায়। এর ঘন্টাখানেক পরে তার লিখা মেসেজ আমার চোখে পড়ে। আমি তাকে তখন বলছি 'আচ্ছা'। ঐদিনের পর আবার আরেকদিন সে প্রাইভেট থেকে আসার সময় তার ভাইয়ের সাথে ঐ আন্টিকে দেখতে যায় উনার বাসায়। তখন আমার বলা কথা যে ভুলে যায়। ঐ বাসায় যাবার কিছুক্ষণ পর তার আমার কথাটা মনে পরে। অখন সে আমাকে ফোনে মেসেজ দিয়ে বলে "আমি আন্টিকে দেখতে আসছি"। আমি তখনও ঘুমে ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার উপর ফরসালা কী?


(আমি যে তাকে বলেছিলাম, কলেজ, প্রাইভেট ব্যাতীত আমার অনুমতি ছাড়া কোথাও যেতে পারবে না, এই কথা বলার সময়, আমার নিয়তে ছিল সে সব জায়গায় যেতে পারবে,কিছু হবে না,কিন্তুু সে আমার কথা শুনে না তাই শুধু ভয় দেখানোর জন্য বলছি)


প্রশ্ন:০২

আবার কয়েকদিন আগে সে প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় আমি নিষেধ করি। তাকে বলি, "তুমি যদি চাকরি করো তাহলে আমার কাছ থেকে একেবারে চলে গিয়ে করতে হবে। আরও বলি, "তুমি চাকরি কারলে তালাক হয়ে যাবে।

এ কথার কয়েকদিন পর সে আমায় বুঝিয়ে বললে আমি তাকে বলি, 'আচ্ছা তুমি সব জায়গায় যেতে পারবে, সব করতে পারবে, চাকরিও করতে পারবে।


উপরোক্ত ঘটনার পর, ১০মাস পর আমি দেশে ২০২৪ সালে ৩মাস ছুটি কাটিয়েছি।


এখন আমার স্ত্রীর চাকরি হয়েছে এবং ৩১-০৮-২৫ তারিখে চাকরিতে জয়েন করেছে।

এখন কি ইদ্দতের সাথে ফিরিয়ে নিতে হবে কি?তালাক হবে কি?

এমতাবস্থায় ফয়সালা কি?


স্ত্রীর জবান বন্দী-

উপরের যাবতীয় বিবরণ সত্য


আরো কিছু ঘটনা:


১)আমার যে বাড়ি আছে,সে এ বাড়িতে থাকবে না এবং এ বাড়িতে থেকে বাচ্চা নিবে না।তাকে আলাদা বাড়ি করে দিতে হবে,তাহলে সে বাচ্চা নিবে।

এ কথার প্রেক্ষিতে আমি বলেছি,যে ছেলে বাচ্চা নেওয়ার কথা বলবে না, এমন ছেলে খুঁজে নিও।সে আমাকে বলেছিল, আমার ফ্যামিলি নাকি তাকে টর্চার করে,নির্যাতন করে,মানসিক চাপে রাখে। তাই আমি বলেছি, যে ফ্যামিলি টর্চার করবপ না, নির্যাতন করবে না,এমন ফ্যামিলিতে যাইয়ো।


(আমি ভয় দেখালে সে আমার কথা শুনে এবং আমার কথা সুন্দর করে কথা বলে।এ কারণেই আমি তাকে ভয় দেখাই)

আমি ভয়গুলো দেখানোর পর সে রাজি হয়েছে এবং বলেছে আমাকে কিছু করে দিতে হবে না,আমি এভাবেই থাকবো।

৩)আমার ঠোঁটের আগায় আইসা রইছে,বললেই শেষ।(শুধু মুখ দিয়ে বের হয়নি)

উপরোক্ত কথা শুধু ভয় দেখানোর জন্য, সম্পর্ক শেষ করা আমার উদ্দেশ্য না।

এসব কথার দ্বারা কি তালাক হয়ে যাবে কি?ফয়সালা কি?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...