আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
8 views
ago in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
যদি পরদিন রাতে মনে পড়ে যে আগের দিন রাতের বিতরের নামাজ ভুলে পড়া হয়নি তাহলে কিভাবে কাজা আদায় করব?
দিনের বেলা বিতরের নামাজের কাজা আদায় করার কি আলাদা নিয়ম রয়েছে?

রিকশায় বসে পড়া নামাজ কি বাসায় এসে আবার পড়তে হবে? আমার মনে সন্দেহ লাগে যে আগেরটা হয়েছে কি হয় নাই তাই আমি বাসায় এসে আবার পড়ি।

1 Answer

0 votes
ago by (673,620 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
বিতির নামাজ ওয়াজিব, ছুটে গেলে সেটির কাজা আদায় করাও ওয়াজিব।

বিতির নামাজের কাজা আপনাকে তিন রাকাত আদায় করতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবে শেষ রাকাতে রুকুর আগে তাকবির বলে হাত বেধে দোয়ায়ে কুনুত পড়বেন।
জনসম্মুখে বা মসজিদে বিতর এর কাজা আদায় করলে ৩য় রাকাতে দোয়ায়ে কুনুতের আগে হাত উত্তোলন করবেননা।

দিনেবে বেলা কাজা বিতর নামাজের কাজা আদায়ে আলাদা নিয়ম নেই।
তবে নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নামাজ আদায় করবেননা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وفي الفتاوى رجل يقضي الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع

ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না?তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে।অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময় বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।আর যদি বিতির না হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল হিসেবে গণ্য হবে।নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৫)

মসজিদে বা জনসম্মুখে বিতিরকে কা'যা করলে হাতু উত্তোলন করে কুনুত করা যাবে না। যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে- 
أما في القضاء عند الناس فلا يرفع حتى لا يطلع أحد على تقصيره. اه
বিতিরের নামাযকে যদি মসজিদে বা জনসম্মুখে কা'যা করা হয়,তাহলে কুনুতের সময় তাকবীর অবশ্যই বলা যাবে, তবে হাত উত্তোলন করা যাবে না।

বিতির নামাজের কাযা সংক্রান্ত জানুনঃ-

আরো জানুনঃ  

(০২)
রিকশায় আপনি যেই নামাজ বসে আদায় করেছেন,বাসায় এসে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

এভাবে রিকশায় নামাজ না পড়ে বাসায়/নিরাপদ জায়গায় নামাজ আদায় করতে হবে।

নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে রিকশাতেই উঠবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 271 views
0 votes
1 answer 151 views
+1 vote
1 answer 284 views
...