আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
বিয়ের পর পর স্বামীর চাকরি চলে যায়। বাবা বিয়ের আগেও সেভাবে খরচ দিত না। সেখানে প্রাইভেট পরাতাম ওনারা খুব অপমান করে আমাকে। কি করতে পারি? রিজিকের জন্য কোন আমল আছে? এত টানা পোরনের মধ্যেও স্বামী চায়না সেখানে আমাকে এত কষ্ট দেয়া হয় সেখানে প্রাইভেট পড়াই আমি। রিজিকের জন্য কি আমল করতে পারি?

1 Answer

0 votes
ago by (673,620 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/86082/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্বামীর উপর ওয়াজিব যে,সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ করবে।
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।(সূরা নিসা-৩৪)

لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে।(সূরা তালাক-৭)

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ) 
 তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
স্বামীর উপর হল, মধ্যম ধরণের খোরাকি স্ত্রীকে প্রদান করা।এবং প্রয়োজনিয় খরচাপাতি স্বামীর উপর ওয়াজিব। 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে।

খোরাকি ব্যতিত বিলাসিতার ব্যবস্থা স্বামীর উপর ওয়াজিব নয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
বিবাহের পর আপনার ভরণপোষণের দায়িত্ব আপনার স্বামীর উপর বর্তায়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ভরণপোষণ আপনার স্বামী করবে। যেভাবে হোক তিনি আপনার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন।

আপনি যদি নিজে উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রে শরীয়তের শর্তাবলী মেনে উপার্জন করতে পারেন।

যেখানে আপনি প্রাইভেট পড়াচ্ছেন, সেটি পরিবর্তন করতে পারেন। অন্য কাউকে আপনি প্রাইভেট পড়াতে পারেন অথবা অন্য কোন হালাল চাকরি করতে পারেন।

মহিলাদের চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ 

https://ifatwa.info/2026/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কুরআন বা হাদীসে দ্রুত চাকরির জন্য স্পষ্ট আকারে কোনো আমলের কথা বলা নাই। 
তবে উলামায়ে কেরাম কিছু আমলের কথা বলেছেনঃ

★দোয়া
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
★তাসবিহ
ভালো চাকরির নিয়তে দিনে বেশি বেশি মহান আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের আমল করা এবং বেশি বেশি পাঠ করা।
يَا وَهَّابُ
অর্থ : ‘কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।’

হজরত শাহ আবদুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততার জন্য (ভালো কাজ বা চাকরির প্রত্যাশায়) চাশতের নামাজের
সময় ১২ রাকাআত নামাজে সেজ দায় গিয়ে এই দোয়া পড়তে হবে।

কিছু উলামায়ে কেরাম নিচের দোয়াটির কথাও বলেনঃ
  যখন হজরত মূসা (আ.) ফিরআউন থেকে পরিত্রাণ খুঁজছিলেন। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত ছিলেন তিনি। তখন হজরত মূসা (আ.) হাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দোআটি পাঠ করেছিলেন। দোআটি করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ তাআলা হজরত মূসাকে (আ.) এমন প্রাচুর্য দান করলেন, যা দিয়ে তিনি পরবর্তী দশ বছর সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পেরেছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে একটি পরিবারও দান করেছিলেন আল্লাহ মহান।
দোআটি হলো

رب إني لما انزلت الي من خير فقير
(সুরা আল-কাছাছ, আয়াত : ২৪)
দোআটির  অর্থ হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। এ

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হালাল কাজ বা চাকুরী পাওয়ার তাওফিক দান করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...