হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
(বুখারী শরীফ ৬৫১২)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".
আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
(৬৫১৩)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)
আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِذَا رَأَى أَحَدُكُـمْ الرُّؤْيَا يُحِبُّهَا ، فَإِنَّهَا مِنَ اللهِ ، فَلْيَحْمَدِ اللهَ عَلَيْهَا ، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا ، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْـرَهُ ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لِأَحَدٍ ، فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ
‘‘তোমাদের কেউ কোন ভালো স্বপ্ন দেখলে তা অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করে এবং তা কাউকে বলে। আর যদি সে এর বিপরীত তথা খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে তা অবশ্যই শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন উহার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় কামনা করে এবং তা কাউকে না বলে। কারণ, এ জাতীয় স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’।
(বুখারী, হাদীস ৬৯৮৫, ৭০৪৫)
দুই সমুদ্র মিশছে না
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন:
“তিনি দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, তারা মিলিত হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে একটি অন্তরায় আছে, তারা একে অপরের সীমা লংঘন করে না।” (সুরা আর-রহমান 55:19-20)
এখানে এক অর্থে হালাল-হারাম, হক-বাতিল, ঈমান-কুফর, অথবা জান্নাত-জাহান্নামের আলাদা সীমানার ইঙ্গিত থাকতে পারে।
★এক দিক নীল (শীতল সমুদ্র), আরেক দিক লাল (আগুনের মতো)
নীল সমুদ্র শান্তি, ঈমান, আধ্যাত্মিক প্রশান্তি বা জান্নাতের পথে ইঙ্গিত করতে পারে।
লাল/আগুনের সমুদ্র দুনিয়ার ফিতনা, গুনাহ, কিংবা আখিরাতের শাস্তির প্রতীক হতে পারে।
★প্রথমে নীল দিকে বসা, পরে লাল দিকে যাওয়া
হয়তো ইঙ্গিত করছে যে আপনি বর্তমানে ঈমান/সওয়াবের পথে আছেন, তবে দুনিয়ার কিছু ঝোঁক বা পরীক্ষার দিকে মন যাচ্ছে।
তবে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া মানে আপনার ভরসা আল্লাহর উপর আছে।
★আগুনের সমুদ্রেও অসহনীয় কষ্ট হয়নি
হয়তো ইঙ্গিত করে যে আল্লাহর রহমতের কারণে আপনি গুনাহ বা পরীক্ষায় থাকলেও আল্লাহ আপনাকে পুরোপুরি পরিত্যাগ করেননি।
★শরীয়তের আলোকে আপনার জন্য করণীয়ঃ-
ইস্তিগফার ও তাওবা বেশি করা – যেহেতু স্বপ্নে আগুনের সাগরের প্রতীক এসেছে, এটা গুনাহ বা ফিতনার দিকে ইঙ্গিত হতে পারে।
আল্লাহর কাছে দোয়া করা – দুনিয়ার ফিতনা, নফসের খারাপ প্রবৃত্তি, শয়তানের প্ররোচনা থেকে হিফাজতের জন্য।
কুরআন বেশি পড়া – বিশেষ করে সুরা আর-রহমান, সুরা আল-মুলক, সুরা আস-সাফফাত ইত্যাদি।
নফল সালাত ও জিকির বাড়ানো – তাহাজ্জুদ, ইস্তিখারা, এবং “লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বেশি পড়তে পারেন।